আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শিক্ষক চিকিৎসক, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট সহ মোট ২০টি পদে এই দফায় প্রায় ২ হাজার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর। এর মধ্যে নতুন ১৬০০ এবং ভোটের জন্য এতদিন আটকে থাকা প্রায় ৪০০ নিয়োগ রয়েছে। মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (ডব্লুবিএইচআরবি) সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। মাস তিনেক নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকার কারণে প্রায় ১৭ ধরনের পদে নিয়োগ আটকে ছিল। এখন সেই প্রক্রিয়া জোরকদমে চালু হয়ে গিয়েছে। তৎপরতা শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরে।
প্রস্তাবিত নতুন নিয়োগের বড় অংশই হল শিক্ষক চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রায় ৫৫০ সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ করবে দপ্তর। তালিকায় ফার্মাসিস্ট পদ রয়েছে প্রায় ৩০০। বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে ৭০০-র কাছাকাছি নিয়োগ হতে চলেছে। এছাড়াও রয়েছে ফিজিওথেরাপিস্ট, ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট, জলপাইগুড়ির ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসির অধ্যাপক সহ অজস্র পদ। এই পদগুলি পূরণের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। পুজোর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে ফেলার লক্ষ্যে এগচ্ছে দপ্তর।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ওষুধ পরীক্ষার পরিকাঠামো ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন স্টেট ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ডিরেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, জুনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ইত্যাদি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই পদগুলিতেও নিয়োগ সম্পন্ন হবে চলতি পর্যায়ে। কিছুদিন আগে বেলুড়ে চালু হয়েছে রাজ্যের একমাত্র সরকারি যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি কলেজ। ওই কলেজের জন্য যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথির অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার বা আরএমও নিয়োগ করা হবে। এছাড়া, প্রায় সাত ধরনের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করবে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা ডব্লুবিএইচআরবি। সেগুলি হল, ডায়ালিসিস, পারফিউশনিস্ট, আরটি, ইসিজি/ইএমজি, ক্যাথল্যাব, ওটি এবং আরডি বা রেডিও ডায়াগনসিস শাখার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। বোর্ড সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত বোর্ডকে যত শূন্যপদে নিয়োগ করতে বলেছে স্বাস্থ্যদপ্তর, এবার সেগুলিতেই নিয়োগ হবে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে আমাদের বোর্ড নিয়মিত স্থায়ী নিয়োগ করে চলছে। গত কয়েক মাস নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকেছিল। এখন আর কোনও বাধা নেই।’