আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মঙ্গলবার কোচবিহারের চকচকার বড়গিলায় অনন্ত মহারাজের প্রাসাদোপম বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ অনন্ত মহারাজ, গ্রেটারের সুসজ্জিত নারায়ণী সেনার সদস্যরা। মহিলারা ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। প্রায় ৩৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রী সেখানে ছিলেন। যদিও সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অনন্ত মহারাজ বলেন, আমাকে দিদি শুধু দেখতে এসেছেন। আমার পরিচয় শুনতে চেয়েছেন। আমি কোন বংশের সেটা বলেছি। বিশ্ব মহাবীর চিলারায়ের জন্মজয়ন্তীতে তিনি এসেছিলেন। আজ তিনি আমার বাড়িতে এলেন। আমি না তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি! তিনি দেখা করতে এসেছিলেন।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত মহারাজ বলেন, আমার কী মতি মরে গিয়েছে! আমি এখন কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছি। ল অ্যান্ড অর্ডার তো মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে। তিনি যদি আসতে চান আমি কী করব! কী করে বাধা দেব! আমি বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য। পার্লামেন্টে রাজ্যসভার ওই আসনগুলি রাজাদের আসন। সেখানে রাজারাই বসবেন। আমি রাজ্যসভায় গিয়েছি। লোকসভায় যাইনি। আমি বিজেপির সক্রিয় রাজ্যসভার সদস্য। বিজেপি আমাকে বিশ্বাসে নিয়েছে। তৃণমূলে কেন যাব! রাজ্যের একজন প্রধান আমার বাড়িতে এসেছেন খুশি তো হবই। তিনি আমাকে শাল উপহার দিয়েছেন। ভোটের সমন্ধে কোনও আলোচনা হয়নি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অনন্ত মহারাজের বাড়ির সামনে পৌঁছতেই সেখানে অনন্ত মহারাজ সহ আরও অনেকে এগিয়ে এসে তাঁকে স্বাগত জানান। সেখানে বিজেপির এসসি মোর্চার জেলা সভাপতি হরিহর দাসকে দেখা গিয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। পাশাপাশি উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। মহারাজের সঙ্গে ওই নেতার সম্পর্ক রয়েছে। কেন তিনি এটা করলেন, সেটা দেখা হবে।