আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
দুর্ঘটনার জেরে আপ লাইন স্বাভাবিক থাকলেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডাউন লাইন। ট্র্যাকের প্রায় দেড়শো মিটার অংশ ভেঙে যায়। বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সোমবার বিকেলের পর আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। রাতভর মেরামতি চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে ডাউন লাইনও মেরামত করা হয়েছে। রাত থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দু’টি লাইনে চালানো হয় চারটি ট্রেন। দু’টি মালগাড়ি, অবধ-অসম এক্সপ্রেস ও শতাব্দী এক্সপ্রেস ডিজেল ইঞ্জিনে চালানো হয়।
এরপর তিনটি ইনসপেকশন ভ্যানের মাধ্যমে দু’টি লাইনের বিদ্যুতের তার মেরামত করা হয়। ফল্ট ডিটেক্টর ট্রলি নামিয়ে লাইন পরীক্ষার পর বেলা দেড়টা নাগাদ ডাইন লাইন দিয়ে চালানো হয় চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি এদিন মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিমি গতিবেগে চলেছে। সেটি বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনে চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে তাঁবু খাটিয়ে কাজের তদারকি করেন রেল ও আরপিএফের অফিসাররা। খোদ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিআরএম ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দু’টি লাইনই স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রেন চলাচল করছে।’
কিন্তু, সংশ্লিষ্ট লাইনে রাত পর্যন্ত সিগন্যাল ব্যবস্থা চাঙ্গা হয়নি। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ রাঙাপানি ও চটেরহাট স্টেশনের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা বিগড়ে যায়। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার পরও সেই সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। গোটা লাইনে সর্বক্ষণ জ্বলছে লালবাতি। এখনও দু’টি স্টেশনের মধ্যে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ম্যানুয়াল সিগন্যাল সিস্টেমে। রেলের পরিভাষায় যাকে বলে পেপার লাইন ক্লিয়ার (পিএলসি)। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করেও বিগড়ে যাওয়া সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। এখনও সংশ্লিষ্ট লাইন দিয়ে ট্রেন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।
সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রাঙাপানি স্টেশন অতিক্রম করার পরই নির্মলজোতে ডাউন লাইনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সংশ্লিষ্ট ট্রেনের পিছনে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ১০ জন প্রাণ হারানোর পর পরিষেবা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন, যার উত্তর মেলেনি মঙ্গলবারও।