জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এই ম্যাচিং হচ্ছে যে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয়, চিকিৎসা পরিভাষায় তার নাম হল হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন (এইচএলএ)। দাতা-গ্রহীতার মধ্যে টিস্যু ম্যাচিং করা হয় এই পরীক্ষায়।
বছরকয়েক যাবৎ অঙ্গ ও অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যেমন এন আর এস এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্থি মজ্জা, পিজিতে লিভার, কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, এন আর এস-এ কিডনি ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্যের সরকারি ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোনও এইচএলএ ল্যাবরেটরি গড়ে ওঠেনি। পিজি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হলেও তা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ বলে অভিযোগ। অন্যান্য জায়গায় হয়ই না।
ফলে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর বাড়ির লোকজন মোটা টাকা দিয়ে বাইরে থেকে এই পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন। এই প্রথমবার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে রাজ্যের প্রথম সরকারি এইচএলএ ল্যাবরেটরি।
মেডিক্যাল সূত্রের খবর, এখানকার সুপারস্পেশালিটি বাড়ির (এসএসবি) দোতলায় ল্যাবরেটরিটি তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। গোট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্ত রয়েছে এখানকার ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ। সেখানকার প্রধান ডাঃ প্রসূন ভট্টাচার্য খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এই ল্যাবরেটরি চালু হয়ে যাবে। শুধু বাংলা কেন, গোটা পূর্ব ভারতের সরকারি ক্ষেত্রে এমন ল্যাবরেটরি আগে হয়নি।’
প্রস্তাবিত ল্যাবরেটরিতে এইচএলএ পরীক্ষার পাশাপাশি আণুবীক্ষণিক বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষাও হবে। নাম ঠিক হয়েছে ‘ট্রান্সপ্লান্ট ইমিউনোলজি অ্যান্ড এইচএলএ ল্যাব’। চিকিৎসক সূত্র জানিয়েছে, যেকোনও ক্রস ম্যাচিং-এর ক্ষেত্রে দাতার পরিবার সাধারণভাবে একাধিক গ্রহীতাকে পরীক্ষা করাতে সঙ্গে নিয়ে যান। কারণ, একজনের সঙ্গেই যে একজনের এইচএলএ ম্যাচিং হবে, তার মানে নেই। একাধিক গ্রহীতার সঙ্গে ক্রস ম্যাচ করানোর দরকার পড়তে পারে।
কলকাতার বিভিন্ন প্রথম সারির বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক-একজনের ক্ষেত্রে এই ম্যাচিংয়ে খরচ পড়ে ১৫-৩০ হাজার টাকা। সম্ভাব্য গ্রহীতার সংখ্যা যত বাড়বে, খরচও লাফিয়ে বাড়তেই থাকবে। সেদিক থেকে এই ল্যাব চালু হলে অঙ্গ প্রতিস্থাপন গতি পাবে। সাধারণ রোগী ও পরিবারের লোকজনের মোটা টাকা খরচও আটকানো যাবে।