মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফেরানো হচ্ছে রোগী, প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপিত হওয়া মাত্রই দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, গরিব মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। তাছাড়া ওরা (বেসরকারি হাসপাতাল) কোনও দয়াদাক্ষিণ্য করছে না। বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছে, এমনটাও নয়। চড়া স্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে চুক্তি করে ১২০০ কোটি টাকা স্বাস্থ্যবিমা বাবদ খরচ করেছে রাজ্য সরকার। এত টাকা খরচ করার পর যদি কেউ রোগী ফেরায়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। ক্ষোভ উগরে মমতা বলেন, কোটা নির্দিষ্ট করে গরিব মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল বেসরকারি হাসপাতালের। সেটা ওরা করে না। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এবার রোগী ফেরানোর মতো ঔদ্ধত্য যেন কেউ না দেখায়। প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য চালু করেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে ১৫০০ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগী ফেরাচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ আসছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চালু হওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ওয়েবসাইটে, কল সেন্টার এবং পোর্টাল মারফত বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, এমন চার হাজার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের হস্তক্ষেপে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রোগী ভর্তি করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের একটি নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডধারী এক ব্যক্তিকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, বকেয়া সরকারি বিল তারা পায়নি। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এরপর স্বাস্থ্যদপ্তর ওই নার্সিংহোমের বকেয়া বিলের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে, ইতিমধ্যেই তা মেটানো হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয় নার্সিংহোমকে। তারাও খোঁজ নিয়ে সঠিক বিষয়টি জানতে পেরে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে ক্ষমা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কার্ডধারী ব্যক্তিকে ভর্তি করে নেয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব বলেন, রোগী প্রত্যাখ্যান করার কারণে এখনও পর্যন্ত কোনও বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের পর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন পুলিসের কাজকর্ম নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিরক্ষকদের তাঁর নির্দেশ, সবার সব অভিযোগ থানায় নিতে হবে। অভিযোগ সত্যি কি না, তা যাচাই করেই ব্যবস্থা নিন। কিন্তু এটা উত্তরপ্রদেশ নয়। ধর্ষণের অভিযোগ করায় নির্যাতিতার পরিবারের কাউকে মরতে হয় না এখানে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিতেই হবে। মমতার নিদান, কেস ডায়েরিটা (সিডি) ঠিকঠাক করে লিখবেন। বহু সময় দেখা যাচ্ছে, সিডি ঠিকঠাক না হওয়ায়, অপরাধী জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এটা যেন না হয়। পুলিসের পাশাপাশি সরকারি আইনজীবীদের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, এরটাও নিলাম, ওরটাও নিলাম, এমন করবেন না। একটা পক্ষ হয়ে থাকতে হবে। সরকার আপনাদের পয়সা দেয়। সরকারের মামলাগুলো ভালো করে দেখুন, ঝুলিয়ে রাখবেন না। নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করুন।