মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে কমিশনের সচিব লাইমা চোজার প্রতিক্রিয়া, যা করেছি আইনের মধ্য থেকেই করেছি। আমার স্ত্রীর পুরো দাঁত তুলে নতুন করে বসাতে এই খরচ হয়েছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান গিরিশচন্দ্র গুপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, লাইমা চোজা গত বছরই অবসর নিয়েছেন। তারপরও তাঁকে এক বছরের পুনর্নিয়োগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার মেয়াদ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। ওই আমলা ফের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের শীর্ষমহলে দরবার শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, কমিশনের প্রধান সচিবের স্ত্রীর নাম লাল থাং লিমি চোজা। অর্থদপ্তরের এক কর্তার কথায়, রাজকোষের অবস্থা এমনিতেই দুর্বল। সেই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ‘অযৌক্তিক’ খরচ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। যদিও তাঁর দাবি, মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সচিব এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হিসেবে ওই আমলা নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
কারণ, এই বিল অর্থদপ্তরে এলে তা আটকে যাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সর্বভারতীয় অফিসার হিসেবে ওই আমলা চিকিৎসা খরচ হিসেবে পুরো টাকাটাই ১০ হাজার করে ভেঙে ভেঙে বিল বানিয়ে কমিশনের অ্যাকাউন্টস বিভাগ থেকে তা অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। প্রকৃত সরকারি বিধি মানা হলে কমিশনের অ্যাকাউন্টস বিভাগের উচিত ছিল দাঁত বাঁধানোর এই বিপুল খরচ সংক্রান্ত ‘কোয়ারি’ চেয়ে ফাইল পাঠানো। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কলকাতার এক নামী দন্ত চিকিৎসক এবিষয়ে বলেন, বিলে রোগীর চিকিৎসার যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে তা এতটা ব্যয়বহুল নয়। তবে বেসরকারি ক্লিনিকগুলিতে আজকাল এভাবেই সাধারণ মানুষকে চড়া দামে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হয়।