মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মমতা নিজে ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, কোন কন্ট্রাক্টর ওই ট্যাঙ্ক বানিয়েছে? তার বিরুদ্ধে এফআইআর কর। কড়া ব্যবস্থা নাও। মমতার নিদান, ভেঙে পড়া ট্যাঙ্কটি বানাতে হবে ওই ঠিকাদারকেই। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কড়া আইন করব, যাতে এমন ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সম্পত্তি ক্রোক করে অর্থ আদায় করা যায়। এই সময় মুখ্যসচিব জানান, সারেঙ্গার ঘটনায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মমতা তখন বলেন, এরকম কয়েকজন ঠিকাদারের জন্য সরকারের সমস্যা হচ্ছে। এই পর্বে পূর্ত দপ্তরের আওতায় নির্মীয়মাণ একটি অডিটরিয়ামের কাজ আটকে থাকার বিষয়টি নজরে আনেন এক জনপ্রতিনিধি। বিষয়টি জেনেই উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বেশি টাকার ডিপিআর (ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট) করা হচ্ছে। মাঝপথে কাজ থামিয়ে আবার বাড়তি টাকা চাইছে। সরকারের টাকা কি খোলামকুচি। একটা অডিটরিয়ামের জন্য এত টাকা লাগে? এভাবে চলতে পারে না। ক্ষোভের সুরে মমতা বলেন, পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে সব হচ্ছে না। বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।
শুখা জেলা বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যার সুরাহার জন্য দু’হাজার কোটি টাকার জলপ্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই পর্বে বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ প্রক্রিয়ার হাল-হকিকত সম্পর্কে জানতে চান সংশ্লিষ্ট দুই পুরপ্রধানের কাছে। দুই চেয়ারম্যানই মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, জলপ্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ। স্থানীয়স্তরে পিএইচই’র তরফে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়াতেই সর্বত্র এখনও জল সরবরাহ করা যায়নি। বিষয়টি শুনে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও কথা শুনতে চাই না। সাতদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এই সব জটিলতার জন্য মানুষকে কেন ভুগতে হবে? কোনও জিনিস কারও জমিদারি নয়। আমি চেয়ারে রয়েছি বলে জমিদার নই, আমিও প্রজা। এরপরই পিএইচই তথা ভূমি রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কেন্দ্রীয়ভাবে টেন্ডার ডেকে কাজটা শেষ করতে হবে। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন, এই দুই দপ্তরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে। দুর্নীতি দমন শাখাকে এর সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।