মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন অবশ্য রাজ্যপালের এই ক্ষোভ তথা হতাশাকে একপ্রকার কটাক্ষ করে বলেন, ওঁর প্রতি যথেষ্ট সম্মান জানিয়েই বলছি, ওঁকে হা-হুতাশ করতে হবে না। কান্নাকাটিও করতে হবে না। যথাসময়ে উনি খবর পাবেন। আর আসল কোনও খবরই তো রাখতে চান না। এই যে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর নিয়ে আমরা রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন প্রতিবাদ করছি। এসব খবরও উনি পান না।
শুক্রবারের সমাবর্তনের আমন্ত্রণ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে না পেলেও ধনকারের হাতে একটি আমন্ত্রণপত্রের কপি এসে পৌঁছয় মঙ্গলবার রাতে। সেটা দেখেই তিনি অবাক ও ক্ষুব্ধ হন। তার কারণ, কার্ডে আচার্য হিসেবে তাঁর কোনও নামগন্ধ নেই। উল্টে রাজ্যের চার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম সেখানে অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ধনকার প্রথমেই নিজের সচিবালয়ের আধিকারিকদের কাছে খোঁজ নেন, সমাবর্তনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে তাঁর অফিসে আদৌ কোনও বার্তা এসেছিল কি না। সেটা আসেনি জেনে তিনি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র কেউ দিয়ে গিয়েছে কি না, তা জানতে চান। তাও না আসার খবর পেয়ে তিনি বেজায় চটে যান। এরপর বুধবার টুইট করে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ এবং আমন্ত্রিত মন্ত্রীদের নাম জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার কথা রাজ্যপালের। অথচ তাঁর কাছেই এনিয়ে কোনও তথ্য নেই। কোন দিকে এগচ্ছি আমরা? এদিন দুপুরে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। রাজ্য সরকারের চালু করা নয়া বিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় যতই তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুক, মূল আইন এবং স্ট্যাটিউটকে কখনওই তারা অবজ্ঞা করতে পারে না বলে তিনি আধিকারিকদের জানান। আইন ও স্ট্যাটিউট অনুযায়ী এব্যাপারে উপাচার্যের কৈফিয়ৎ তলব কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও তিনি চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজভবনে কোনও আমন্ত্রণপত্র যেমন যায়নি, তেমনই উপাচার্যকে রাজ্যপাল কোনও চিঠি দিয়েছেন কি না, তাও জানানো হয়নি তাঁর সচিবালয় থেকে।
এদিকে, এনিয়ে শোরগোল শুরু হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কর্তারা যোগাযোগ করেন। রাজ্যপালের কাছে কেন আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয় দপ্তরের তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য বলা হয়, নতুন বিধি মেনে তারা যা করার, করেছে। দেবকুমারবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, আমরা বিধি মেনে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। মন্ত্রীদের মতো রাজ্যপালের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। উনি কেন আমন্ত্রণপত্র হাতে পাননি, তা বলতে পারব না।