আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক এলাকায় জড়ো হন বাম কর্মীরা। প্রার্থীকে নিয়ে সেখান থেকে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দপ্তরে যান। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী গৌর বিশ্বাস বলেন, ‘বাগদা ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি। বামেরা এখানে অতীতে ভালো ফল করেছে।’ তাঁর দাবি, বাগদা উপ নির্বাচনে বাগদার মানুষ তাঁকেই জয়ী করবেন। মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। সেই মতুয়া ভোট পেতে আশাবাদী গৌরবাবু। তিনি বলেন, গত কয়েকটি নির্বাচনে মতুয়ারা রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদলকে সমর্থন করলেও কেউ সেভাবে তাঁদের কথা ভাবেনি। এবার মতুয়ারা বামেদের সমর্থন করবে। বাম- কংগ্রেস জোট নিয়ে এখনও আশাবাদী তিনি।
বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হিসেবে লড়াই করলেও উপ নির্বাচনে আলাদা প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থী অশোক হালদার। এদিন বনগাঁ শহর কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে মিছিল করে মহকুমা শাসকের অফিসে আসে তারা। মনোনয়ন জমা দিয়েও বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস প্রার্থী অশোক হালদার। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমরা যৌথভাবে লড়াই করেছি। শুক্রবার জোট নিয়ে আলোচনা হবে উচ্চপর্যায়ে।
এদিনই মনোনয়ন জমা দেন বাগদা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী বলেন, বাগদার মানুষ বিগত দিনে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। আগামীতেও বিজেপির সাথেই থাকবেন। বাগদায় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে সরব বাগদার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রার্থী বহিরাগত হওয়ায় দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নির্দল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিয়েও বেকায়দায় বিজেপির উচ্চনেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এদিন মনোনয়ন জমা দেননি তিনি। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস বলেন, ‘বড় দলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়। এটা মিটে যাবে। নির্দল হিসেবে দলের কেউ মনোনয়ন জমা দেবেন না। আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে একসঙ্গে ভোটে লড়াই করব।’ এদিন মনোনয়ন জমা কর্মসূচিতে আসার সময় ড্রপ গেটে পুলিসি বাধার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। পুলিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। পরে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী। মনোনয়ন ঘিরে বনগাঁ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে যথেষ্ট পুলিসি নিরাপত্তা ছিল।