বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মধ্য মেয়াদি জাত রবি ২০/১০৫,১৬০ দিনের জন্য। দীর্ঘ মেয়াদি জাত ১৮০ দিনের জন্য শ্বেতা বি ৭, চুর্ণী বি ৫১৭ এবং জাগৃতি। প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ম্যানকোজেব ৭৫ শতাংশ ৩ গ্রাম অথবা থাইরাম ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম বা ক্যাপটান ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম হারে ভালোভাবে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে। রাইজোবিয়াম কালচার মেশাতে হবে। আশ্বিন থেকে অঘ্রাণের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অড়হরের বীজ বপন করা যায়। এছাড়া জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসেও বীজ বোনা যায়।
স্বল্প মেয়াদি জাতে সারি ও গাছের দূরত্ব হবে ১ ফুট ও ১ ফুট। মধ্য মেয়াদি জাতে ২ ফুট ও ১ ফুট এবং দীর্ঘ মেয়াদি জাতে ৩ ফুট ও দেড় ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। বিঘে প্রতি সাড়ে ৯ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও সাড়ে ১৩ কেজি মিউরেট অফ পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। কোনও চাপান সার প্রয়োগ করার দরকার নেই। বোরণ ও মলিবডেনামের ঘাটতি থাকলে মাটিতে ২ গ্রাম সোহাগা ও সাড়ে ৩ গ্রাম অ্যামোনিয়াম মলিবডেট প্রতি লিটার জলে গুলে বীজ বোনার ২১ দিন ও ৪২ দিনের মাথায় দু’বার স্প্রে করলে ফলন বৃদ্ধি পায়। সেচের সুযোগ থাকলে বীজ বোনার ৭৫দিন ও ১০০ দিন পরে সেচ প্রয়োগ করতে হবে। জমিকে সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
অড়হর ডালে ঢলে পড়া রোগ দেখা দেয়। হঠাৎ বড় গাছ ঢলে পড়ে। এই রোগ প্রতিরোধে বীজ শোধন জরুরি। মরচে পড়া রোগে পাতার নীচে গাঢ় বাদামি দাগ হয়ে গাছ মারা যায়। প্রতি লিটার জলে আড়াই গ্রাম মেটালক্সিল ও ম্যানকোজেব বা ০.৭৫ মিলিলিটার প্রোপিকোনাজোল স্প্রে করতে হবে। শুঁটি ছিদ্রকারী পোকা গাছের পাতা ও শুঁটি ফুটো করে ক্ষতি করে। প্রতি লিটার জলে ০.৭৫ গ্রাম অ্যাসিফেট বা ২ মিলিলিটার কার্বোসালফান স্প্রে করলে ভালো কাজ হয়।
বিঘে প্রতি ১৭৫ থেকে ২২৫ কেজির মতো ফলন পাওয়া যায়। ভালো বীজ পেতে স্থানীয় কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।