আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রতিবছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে সরকারি উদ্যোগে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে অনেকে নতুন ব্যবসা শুরু করেন। আবার বহু মহিলা ও গোষ্ঠী পুরনো ব্যবসাকে বিস্তৃত করে। গত কয়েক বছর ধরেই ঋণ প্রদানের বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক করে ঋণ প্রদানের লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয়। এক বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ঋণ নিতে কতটা আগ্রহ দেখাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে পরের বছরের টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। যেমন ২০২৩-২৪ সালে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কগুলিকে। তারপর দেখা গিয়েছে বছর শেষে টার্গেট ছাপিয়ে গিয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে ন’লক্ষ ৩৭ হাজার ৩২টি গোষ্ঠী বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে লাভবান হয়েছে। গড় হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, এক-একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী দু’লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা করে পেয়েছে। ২০২১-’২২ সালে ঋণ প্রদানের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। সে সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে গত অর্থবছরে। প্রতিবছর উপকৃত গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে আধিকারিকরা মনে করছেন, আগামিদিনে আরও অনেক মহিলা যাঁরা এখনও কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হননি তাঁরা নতুন দলের সঙ্গে যুক্ত হতে এগিয়ে আসবেন।