আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আইন ঘিরে। ২০২১ সালে একটি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আইন জারি করে কেন্দ্র। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্টের উৎস যাতে চিহ্নিত করা যায়, সেই সুযোগ রাখা হয় ওই নিয়মে। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় মেটা অধীনস্ত হোয়াটসঅ্যাপ। কোনও অবস্থাতেই ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নীতি ভাঙতে নারাজ তারা। এই এনক্রিপশন থাকার ফলে প্রেরক ও প্রাপক ব্যতীত অন্য কেউ হোয়াটসঅ্যাপের কোনও মেসেজ পড়তে বা ছবি দেখতে পারে না। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ রয়েছে। আরও স্পষ্ট করে বললে বিশ্বজুড়ে এই অ্যাপের জনপ্রিয়তার অন্যতম ইউএসপি এটাই।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং আরোরার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলা। শুনানিতে সংস্থার আইনজীবী তেজস কারিয়া বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যদি আমাদের এনক্রিপশন ভাঙতে বাধ্য করা হয়, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ ভারত থেকে চলে যাবে।’ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি জানান, আম জনতা শুধুমাত্র এনক্রিপশনের জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। সরকারের এই নিয়ম কার্যকর করতে হলে এনক্রিপশন ভাঙতে হবে। না হলে কোনও মেসেজ বা ছবির উৎস সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। আর এসবের জন্য কোটি কোটি মেসেজ, ছবি, ভিডিও যে কত বছরের জন্য জমা রাখতে হবে, তার কোনও হিসেব নেই। তিনি আরও বলেন, গোটা পর্বে দু’টি বিষয় আছে—ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সরকারের জানার অধিকার। ধরুন, একজন সন্ত্রাসবাদী মেসেজ করেছে। তাকে তো ধরতে হবে। আর এখানেই আমরা আতান্তরে পড়ে যাচ্ছি। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তাও দেখা উচিত আদালতের। কারণ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এমন কিছু নেই, যার উপরে ভিত্তি করে সরকার এই আইন তৈরি করতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ রাখার বিষয়ে সওয়াল করেছিল।