উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা নব নির্বাচিত বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, পুরসভা এলাকা থেকে আরও বেশি পরিমাণে লিড পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বেশকিছু ওয়ার্ডে ফল খারাপ হয়েছে। কী কারণে ফল খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে বেশকিছু ওয়ার্ডে ফলাফল বেশ ভালো হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, পুরসভা এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে ঝড় তুলেছিল তৃণমূল। নেতাকর্মীরাও লিড নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে যায় তৃণমূল। ১, ২, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ১৫টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ওয়ার্ড থেকেও হেরে যায় তৃণমূল। তাই উপনির্বাচনের আগে বেশ অস্বস্তিতে ছিল ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব নিয়েও চিন্তায় ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ বিরোধী শিবির প্রথম থেকেই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু সেই কৌশল ধোপে টেকেনি।
শহর এলাকায় ৬টি ওয়ার্ড বাদে উপ নির্বাচনে মোটের উপর ভালোই ফল করেছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছে বিজেপি। তবে ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে যাওয়ায় খুশি ঘাসফুল শিবির। কারণ এই দু’টি ওয়ার্ডে বিগত নির্বাচনগুলোতে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
এক তৃণমূল নেতা বলেন, সুজয়বাবুর বিরোধী গোষ্ঠী ভোট প্রক্রিয়া স্লো করিয়েছে। এছাড়া জন প্রতিনিধিদের কাজে খামতি রয়েছে। যা ভালো চোখে দেখেনি মানুষ। এছাড়া সামান্য হলেও আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়েছে। না হলে মার্জিন আরও বাড়ত। যেখানে গত লোকসভা ভোটে পুর এলাকা থেকে প্রায় ৫ হাজার ভোটে পিছিয়েছিলাম। সেখানে উপ নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার ভোটে লিড পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায় বলেন, পুরসভা এলাকায় ফল ভালো হয়েছে। প্রচুর মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে। পুর ও গ্রামীণ এলাকার ফলাফল নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হবে। আশা করছি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের ফলাফল ভালোই হবে।