উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পুরসভা স্কুলের মাঠ ব্যবহারে নো অবজেকশন চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ আরামবাগ উৎসবের জন্য মেলার সময়সীমা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে রাখার আর্জি জানিয়েছে। তা ঘিরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা।
আরামবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, ২ জানুয়ারি রাজ্য স্কুল শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশমতো বুক ডে পালন করতে হবে। ওইদিন পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নতুন বই দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। একইসঙ্গে সেদিনই শিক্ষা বর্ষের প্রথম পঠনপাঠন। ফলে পড়ুয়াদের কাছেও তা আকর্ষণের। কিন্তু, ওইদিন পর্যন্ত মেলা চলবে বলে পঠনপাঠন চালু রাখা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি। মেলায় নানা খাবারের স্টল বসে। তারসঙ্গে অন্যান্য জিনিসও থাকে। ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া স্কুলের সময়েই মাইকও বাজে। এইসব সমস্যার কারণে আমরা পুরসভাকে মেলা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছি। প্রয়োজনে মেলার দিন এগিয়েও নিয়ে আসা যেতে পারে। কিন্তু, পুরসভা মেলার নির্ঘণ্ট একই রাখার আবেদন জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছে। তাই এখনও এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেন, মাঠ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। পড়ুয়াদের কথা ভেবে ২ জানুয়ারি বুক ডে পালনও অনিশ্চয়তায়। অভিভাবকদের একাংশও এই ব্যাপারে আমাদের জানিয়েছে। তাই পুরসভাকে মেলার নির্ঘণ্ট এগিয়ে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের আর্জিও জানাব। আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী অবশ্য বলেন, আরামবাগ উৎসব নির্ধারিত দিনে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। সেইমতো এবছর উৎসব করতে প্রস্তুতি অনেক দিন আগে থেকেই নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন নামী শিল্পী সহ নানা বিষয়ের বুকিং হয়ে গিয়েছে। তাই যাতে এই বছর নির্দিষ্ট নির্ঘণ্টতেই উৎসব করা যায় তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে আগামী বছর থেকে মেলা ৩০ডিসেম্বরেই শেষ করে দেওয়া হবে।