আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নবান্নে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা। রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সঙ্গে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বৈঠকে ডাক পেয়েছেন। বৈঠকে শহরের সমস্যা তুলে ধরার বিষয়ে প্রস্তুতিও নিয়েছেন চেয়ারম্যানরা। পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, বিকেল ৪টের সময় নবান্নে বৈঠক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেই দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।
তবে যেহেতু প্রশাসনিক বৈঠক এবং আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন, তাই ভোটের ফলাফলের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। পুর পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এত সরকারি পরিষেবার পরেও শহরের মানুষের মন জয় করা যাচ্ছে না কেন, সেই বিষয়েও তিনি জানতে চাইতে পারেন। শহরের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া পুরসভার কথা জিজ্ঞাস করলে বা কোনওভাবে বলার সুযোগ পেলে, শহরের নাগরিক পরিষেবা দিতে গিয়ে কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, সে কথা জানাব। সেই সঙ্গে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি জমি বেদখল আটকাতে প্রশাসনিকস্তরে যে উদাসীনতা রয়েছে, সেই কথাও তুলে ধরব। জাতীয় সড়ক, পিডব্লুডি এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনের সামনে দখলদারি আটকাতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা যে উদাসীন, সেই কথা জানানোর চেষ্টা করব। ওই কাজে আধিকারিকারা যে জনপ্রতিনিধিদের দিকে দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা জানানো হবে।
বৈঠকে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ডাক পেলেও ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালকে ডাকা হয়নি। এনিয়ে সুরেশবাবু বলেন, অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন পুরসভায় যেতে পারিনি। কেন বৈঠকে ডাকা হয়নি জানি না।
বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সুরেশবাবু চেয়ারম্যান হয়েছেন। ডাক না পাওয়ার বিষয়ে ওই কারণটি বড় ভূমিকা নিয়ে থাকতে পারে বলে মনে হয়। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার বিপ্লব কয়াল সংবাদমাধ্যমে জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন। তবে ডাক না পাওয়ার বিষয়টি ঝালদা শহরের বাসিন্দাদের পক্ষে দুর্ভাগ্যের।