আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পূর্বস্থলী-২ ব্লক কৃষি দপ্তরের এডিও জীবন নাথ বলেন, জলের অভাবে পাট পচাতে চাষিদের মুশকিলে পড়তে হয়। দু’বছর চাষিরা পাটের ভালো দাম পাননি। তাই তাঁরা বিকল্প হিসেবে বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন। আগেও ভাগীরথীর বিভিন্ন চরে বাদাম চাষ হতো। এখন পুরো পূর্বস্থলী-২ ব্লকজুড়ে বাদাম চাষ বাড়ছে।
বাদামের চাহিদা সারা বছরই কমবেশি থাকে। তবে বাদাম চাষে ঝুঁকি হল টানা নিম্নচাপ। বৃষ্টির জল বেশি জমলে বাদামগাছের গোড়া পচে যেতে পারে। এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ মন পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন হয়। প্রতি মন বাদাম সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। নিশ্চিত আয় থাকায় কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকছেন।
বাদাম চাষে মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকতে হবে। পূর্বস্থলীর ভাগীরথীর চরে যেখানে আগে পাট চাষ হতো, সেখানে এখন বাদাম চাষ হয়। পূর্বস্থলীর বড়গাছির বাসিন্দা তরুণ মাহাত বলেন, আমি ২২ কাঠা জমিতে এবারই প্রথম বাদাম চাষ করেছি। আগে এসব জমিতে পাট চাষ করতাম। কিন্তু পাটের ভালো দাম না থাকায় বাদাম লাগিয়েছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভ হবে বলে আশা করছি। এই চাষে সেচ কম লাগে। নিশ্চিত আয় থাকে। আমাদের এলাকায় সবাই এখন বাদাম চাষের দিকেই ঝুঁকছেন।
বোরো ধান চাষের বিকল্প হিসেবে পূর্বস্থলীজুড়ে সব্জি চাষে জোর দিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু সব্জিতেও ভালো দাম না পাওয়ায় এখন ফল, বাদাম চাষের দিকে কৃষকরা ঝুঁকছেন। তাতে অন্তত চাষের খরচটুকু উঠে যাচ্ছে। বাদামের ফুল মাটির উপরে ফুটলেও গর্ভাশয়ের নীচের যে বৃন্তটি শুঁটি গঠন করে, সেটি মাটির নীচে চলে যায়। সেখানে পুষ্ট হয়ে বাদামে পরিণত হয়। ভালো নিকাশি ব্যবস্থা আছে, এমন জায়গায় হাল্কা, ঝুরঝুরে দোঁয়াশ মাটিতে বাদাম চাষ করতে হয়। এবার বিকল্প ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করছেন পূর্বস্থলীর কৃষকরা।