জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
রাজবাঁধের উপর দিয়ে হাওড়া-দিল্লি রেল লাইন যাওয়ায় বন্দে ভারত, রাজধানী এক্সপ্রেস সহ বহু এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে। আসানসোল-বর্ধমান লোকাল ও প্রচুর মালগাড়িও এই লাইনে চলাচল করে। ফলে দিনের অনেকটা সময় রাজবাঁধের লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকে। এর জেরে যানজট দেখা দেয়। রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে বহু পড়ুয়াকেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
রেললাইনের অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতাল, কলেজ, একাধিক স্কুল, ব্যাঙ্ক রয়েছে। দিনভর বহু মানুষ রেললাইন পার করেন। বর্ধমান বা দুর্গাপুর যেতে হলে রাজবাঁধ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরতে হয়। কিন্তু রাস্তায় রেলগেট পার হওয়াই মানুষের কাছে যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা চঞ্চল রুইদাস, ভৈরবচন্দ্র গড়াই বলেন, লাইনের অপরদিকে জাতীয় সড়ক রয়েছে। সেখান থেকে বর্ধমান বা দুর্গাপুর যাওয়ার বাস ধরতে হয়। কিন্তু অনেকসময় দীর্ঘক্ষণ গেট বন্ধ থাকে। এই গরমে কড়া রোদের মধ্যে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
অপর বাসিন্দা আকাশ তালুকদার বলেন, স্থানীয়রা ছাড়াও নতুনগ্রাম, বামনাবেড়া সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের কাজের জন্য রেললাইনের অপরদিকে যেতে হয়। ওদিকে বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। রোগী অসুস্থ হয়ে রেললাইন পার করে সেখানে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকলে অসুবিধা হয়। এখানে একটি আন্ডারপাস করলে ছোট গাড়ি ও বাইক চালকদের সুবিধা হবে। অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতেও সমস্যা হবে না।
আমলাজোড়ার বাসিন্দা তিমির মিস্ত্রি বলেন, কয়েকদিন আগে গেট বন্ধ থাকায় প্রায় আধঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আন্ডারপাস হলে সমস্যা মিটবে।
দেখা গেল, লেভেল ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে রেলগেটের নীচ দিয়ে বাইক পার করছেন কয়েকজন। জিজ্ঞাসা করলে একজন বলেন, আমার মেয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে। তাকে স্কুলবাস থেকে আনতে যাচ্ছি। রেলগেটে অপেক্ষা করলে দেরি হয়ে যায়। বাইক পার করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য লুকিং গ্লাস খুলে দিয়েছি। সাইকেল চালকরাও একইভাবে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন। কবে আন্ডারপাস হবে, এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে-সেই অপেক্ষায় আমলাজোড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।