গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বুধবার সকালে কান্দির বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়। ফলে শহরের কালীবাড়ি রোড, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, পীরতলা, ছাতিনাকান্দি ইত্যাদি এলাকায় জল জমতে শুরু করে। যদিও কান্দি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের তৎপরতায় বৃষ্টি থামতেই জল নামতে শুরু করে। পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, জমা জল নামাতে আমাদের কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তবে এই একদিনের বৃষ্টিই বাসিন্দাদের মনে আশঙ্কা ঢুকিয়ে দিয়েছে। স্বভাবতই আলোচনায় উঠে আসে স্বরূপখালের প্রসঙ্গ। কান্দির ওই প্রধান নিকাশি নালা প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা। কানা ময়ূরাক্ষী নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে বাঘবাটি গ্রাম পর্যন্ত গিয়েছে নালাটি। বাসিন্দারা জানান, এক সময় এই নালার মাধ্যমেই শহরের সমস্ত জল নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন এর কোনও সংস্কার না হওয়ায় এটি বিলুপ্তির পথে।
তবে লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নালা সংস্কারের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৪ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৮২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে নালা সংস্কারের জন্য। কান্দি মহকুমা সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজটির টেন্ডারও সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ায় ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া যায়নি। নির্বাচন মিটলেই কাজ শুরু হবে।
কান্দির কাঁঠালতলা এলাকার ব্যবসায়ী নিমাই সাহা বলেন, স্বরূপ খালের সংস্কার না হলে কান্দির নিকাশি সমস্যার সমাধান হবে না। তাই আমরা নির্বাচন মিটলেই দ্রুত সংস্কার শুরুর আবেদন করছি। বিশ্রামতলা এলাকার শিক্ষক সৌমিক দত্ত বলেন, বহু বছর পর স্বরূপখাল সংস্কারের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। নালা সংস্কার হলে কান্দির বহু বছরের নিকাশি সমস্যা মিটে যাবে। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ কাজ শুরু হয়। সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুনভাবে খাল সংস্কারের সময়ে এটি গভীর করার পাশাপাশি দু’ দিকে ঢালাই বাঁধ দেওয়া হবে। কোথাও রেলিং দেওয়া হবে। প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যজুড়ে সংস্কার হবে। কান্দি মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনী বিধির কারণে আমরা প্রকল্পে হাত দিতে পারিনি। তবে নালা পরিষ্কার করে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।