গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ভগবানগোলা-১ ব্লকের ভগবানগোলা পঞ্চায়েতের বীরেন্দ্রনগর কলোনি জনবহুল এলাকা। প্রায় আট দশক আগে সরকারি জায়গায় কলোনিটি গড়ে ওঠে। বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় চার হাজার। কলোনির বাসিন্দাদের বর্জ্য জল নিকাশির জন্য পাশেই রয়েছে একটি জলাশয়। অভিযোগ, সম্প্রতি স্থানীয় কিছু জমি মাফিয়া অবৈধভাবে ওই জলাশয় ভরাট শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জলাশয়ের বেশ কিছুটা অংশ ভরাট হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদ করে লাভ হয়নি। বরং জমি মাফিয়াদের থেকে শাসানি, হুমকি শুনতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কলোনির মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে নেমেছে।
বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব অশ্বিনী মণ্ডল বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে উদ্বাস্তু পরিবারগুলি এখানে এসে ঠাঁই নিতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যে এখানে কলোনি গড়ে ওঠে। অবশেষে ১৯৭৫ সালে রাজ্য সরকার পরিবারগুলিকে পাট্টা প্রদান করে। তখন থেকে কলোনির পাশেই জলাশয়টি নিকাশি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন কিছু জমি মাফিয়া এসে জলাশয়টি ভরাট করতে শুরু করেছে। কলোনির ছেলেবুড়ো সকলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, প্রাণ দেব তবু নিকাশি জলাশয় ভরাট হতে দেব না। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্ণণ মণ্ডল বলেন, বৃষ্টি এবং কলোনির পরিবারগুলির দৈনন্দিন ব্যবহার্য জল ওই জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। ভরাট হলে জল কোথায় যাবে। একটু বৃষ্টিতেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। কলোনি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ভরাট বন্ধ না হলে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।