আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দর কাছ থেকে তাঁর শ্বশুর সম্প্রতি কিছু টাকা ধার নেয়। সেই টাকা সময়ের মধ্যে পরিশোধ করছিল না শ্বশুর। বিষয়টি নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় অরবিন্দর। বারবার ধারের টাকা চেয়েও সেই টাকা মিলছিল না। বিষয়টি নিয়ে শ্বশুরের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছিল তাঁর। অরবিন্দ বিশ্বাস তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শ্বশুরকে ধার দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই বাবা তাঁকে ধারের টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। শনিবার স্ত্রীকে বিষয়টি জানান অরবিন্দ। স্ত্রী তাঁর বাবাকে জামাইয়ের টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার কথা বলেন। এরপরেও ধারের টাকা পাননি অরবিন্দ। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর কামাখ্যাগুড়ির সুপার মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় অরবিন্দর বাড়িতে আসে তাঁর শ্বশুর। সেসময় বকেয়া টাকার বিষয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। একসময় সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। শ্বশুর-জামাইয়ের তর্কাতর্কিতে সরগরম হয়ে উঠে সেই বাড়ি। অভিযোগ, সেসময় শ্বশুর তার জামাই অরবিন্দকে কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে। এতে অরবিন্দ জখম হন। আহত অবস্থায় অরবিন্দকে তাঁর স্ত্রী কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁর আঘাত গুরুতর থাকায় কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার রাতে জেলা হাসপাতালেই অরবিন্দর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর থমথমে রয়েছে উত্তর কামাখ্যাগুড়ি গ্রামের পরিবেশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দর শ্বশুরবাড়ি মধ্য কামাখ্যাগুড়ির পুঁটিমারি গ্রামে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শ্বশুর গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে যার নামে অভিযোগ সে পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানায় কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিস।
মৃতের দিদি সুচিত্রা দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই। পুলিসকে অভিযোগ জানিয়েছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অধীর বিশ্বাস বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যেটা জানতে পারলাম, শ্বশুর বাটাম দিয়ে অরবিন্দকে মারধর করেছে। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার আমরা সকলেই মর্মাহত। পাওনা টাকা নিয়ে বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।