আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অভিযোগ, বর্ষার সময় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে মানসাই নদী। সেই নদীর বুকে খুঁটি পুঁতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই খুঁটি যাতে নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙে না পড়ে তারজন্য ভালো করে কংক্রিটের ঢালাই করা হয়নি। ফলে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলের প্রবল স্রোতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি ভেঙে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। গ্রামের বাসিন্দা গোলজার মিয়াঁ, মোক্তার মিয়াঁ বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গ্রামে বিদ্যুৎ আসায় আমাদের দুর্দশা অনেকটাই মিটেছিল। কিন্তু নদীর জলে খুঁটিগুলি ভেসে যাওয়ায় আবার সেই অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে।
জারিধরলা গ্রামের বাসিন্দা ও তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আবু কালাম আজাদ বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম আমাদের গ্রাম দু’টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছিল। কিন্তু তা মাত্র তিন মাসের বেশি স্থায়ী হল না। জলের প্রবল স্রোতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি উপরে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে গ্রাম দু’টি। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যা হতেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে গ্রাম। এবিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কোচবিহারের রিজিওনাল অফিসার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু নদীতে এখনও প্রচুর জল রয়েছে, তাই নদীর জল না কমা পর্যন্ত সেখানে কোনওভাবেই কাজ করা সম্ভব নয়। নদীর জল কিছুটা কমলেই আমরা পুনরায় কাজ শুরু করে সেই এলাকার বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান করব।