আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এখনও মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়নি। যদিও লোকসভা ভোটে জিতে মনোজ টিগ্গা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় যে কোনও মুহূর্তে এই বিধানসভার উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বাগানে বাগানে বৈঠক শুরু করে দিয়েছে।
মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪টি চা বাগান। ২৪টি বাগানে ৯৮টি বুথ। এবার লোকসভা ভোটে মাদারিহাটে চা বাগানের ৯৮টি বুথের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই ৪৯টি করে বুথে লিড পেয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে চা বাগানে যুযুধান দুই পক্ষের শক্তিই সমান সমান। বিজেপি ব্লক ও পঞ্চায়েত সদর এলাকার ভোট টেনে এবারের লোকসভা ভোটে মাদারিহাট বিধানসভায় সার্বিকভাবে ১১ হাজার ৬৩ ভোটের লিড পেয়েছে।
যদিও আগের লোকসভা ও বিধানসভার ভোটগুলিতে তৃণমূল বাগানের বুথগুলিতে কোথাও ৩০ কোথাও ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেত না। কিন্তু এবার বাগানে পদ্ম শিবিরের ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ধস নেমেছে। তৃণমূলের দাবি, বাগানগুলিতে রাজ্য সরকারের ঢালাও উন্নয়নের কারণেই চা শ্রমিকরা বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর এই সাফল্যকে হাতিয়ার করেই উপনির্বাচনে তৃণমূল উন্নয়নের নিরিখে শ্রমিকদের ভোট দেওয়ার বার্তা দিচ্ছে।
তৃণমূলের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, বাগান ভিত্তিক বৈঠকগুলিতে আমরা শ্রমিকদের এটাই বলছি যে বাগানে রাজ্য সরকারই উন্নয়ন করেছে। পানীয় জল, জমির পাট্টা, শ্রমিকদের ঘর তৈরি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সবই করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র সরকার তো কিছুই করেনি। আমরা শ্রমিকদের বোঝাচ্ছি উন্নয়ন দেখেই উপনির্বাচনে ভোট দিন।
শাসক দলের চা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবীন রাই বলেন, রাজ্য সরকারের এই উন্নয়ন বুঝতে পারছে শ্রমিকরাও। তারই প্রভাব পড়েছে লোকসভা ভোটে। বাগানে ধস নেমেছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত উপনির্বাচনে আমরাই জিততে চলেছি।
যদিও মনোজ টিগ্গা বলেন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে বাংলার প্রকল্প নাম দিয়ে বাগানগুলিতে কাজ করেছে। শ্রমিকরাও এটা জানেন। তাই এসব করে লাভ হবে না। উপনির্বাচনেও আমাদের দলই জিতবে।