আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বনদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাতির হানার খবর পেয়ে কলাবাড়ি বিটের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। তাঁরা হাতিটিকে কলাবাড়ি জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন। বনকর্মীরা খুব সতর্কভাবে এই কাজ করছিলেন। সেই সময় গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ সার্চলাইট জ্বালিয়ে, পটকা ফাটানো শুরু করে। হইহল্লা, চেঁচামেচি করায় হাতিটিও দিশেহারা হয়ে বনকর্মীদের তাড়া করে। চা বাগানের প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা হাতিটি বনকর্মীদের তাড়া করে। দু’জন কর্মী পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও রাজেন্দ্র রাই নামে ওই কর্মী একটি দাঁতাল হাতির কবলে পড়ে যান। সেই সময় হাতিটি বনকর্মীকে শুঁড়ে তুলে মাটিতে আছাড় মারে। অন্য কর্মীরা সেই দৃশ্য দেখে রাজেন্দ্রকে উদ্ধার করে প্রথমে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জখম গুরুতর হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রাজেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন।
পানিঘাটার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন,বনকর্মীরা হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, হাতিটি বনকর্মীদের তাড়া করে। বন্দুক থাকলেও বনকর্মীরা ফায়ার করার সুযোগ পাননি। এনিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে। তিনি বলেন, আমরা এক অভিজ্ঞ কর্মীকে হারালাম। বনকর্মীরা সেখানে নিজেদের কর্তব্য পালন করেছেন। তবে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা করা উচিত ছিল। বনকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাতিদের জঙ্গলে ফেরাতে যান। এজন্য তাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু গ্রামবাসীর একাংশ তাতে সহযোগিতা না করে হইহল্লা, সার্চলাইট দেখিয়ে, পটকা ফাটিয়ে হাতিটিকে দিশেহারা করে দেয়। এর জন্য হাতিটি বিরক্ত হয়ে বনকর্মীদের তাড়া করে। তাতে একজন প্রাণ হারান।
হাতিদের বিরক্ত না করার আবেদন রেখেছেন ডিএফও। তিনি বলেন, ভিডিও তোলার জন্য হাতির পিছনে ছোটা উচিত নয়। হাতিকে সাধারণ মানুষ বিরক্ত না করলে আমরা সেটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে পারি। হাতির হানায় ফসল, ঘরবাড়ির ক্ষতি হওয়ায় গ্রামবাসীর ক্ষোভ আমরা বুঝি। কিন্তু হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর জন্য বনকর্মীরা রয়েছেন। যারা ছবি তুলতে হাতির কাছাকাছি চলে যান, অযথা হইহল্লা করেন, এই অপারেশনে তাদের কী ভূমিকা রয়েছে!