জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনার পর চাঁচলের কালীগঞ্জে মৃত কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মহিলাল মণ্ডল ও ছবি মণ্ডল। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদেরও শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। মণ্ডল পরিবারের এই অবস্থা দেখে গ্রামজুড়ে ট্রেন সফর নিয়ে আতঙ্ক।
শুধু স্নেহা নয়, গত বছর জুন মাসেই ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত হন কালীগঞ্জ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধানগারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিযায়ী শ্রমিক মাসরেকুল আলি ও নুরুল ইসলাম। প্রাণ গিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের কৃষ্ণ রবি দাসেরও। জখম হন চাঁচল মহকুমার আব্দুল মাতিন সহ আরও পাঁচজন। ফের ট্রেন দুর্ঘটনায় এলাকার বাসিন্দার মৃত্যুর ঘটনায় ট্রেন সফর নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর।
কালীগঞ্জের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু বা অন্যান্য রাজ্যে যেতে দূরপাল্লার ট্রেনই ভরসা। বারবার দুর্ঘটনা ঘটলে ট্রেনে চাপার সাহস হবে না আর। গ্রামের অনেকেই ভয়ে আছেন। সরকার আমাদের ভালো পরিসেবা দিক।
এক শ্রমিক রেজাউল হক বলেন, মালতীপুর বিধানসভা সহ জেলায় অগণিত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। বাইরে না গেলে পেট চলে না। তারমধ্যে পরপর দুর্ঘটনা আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রামের অনেক শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ট্রেনে বাড়ি ফেরা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। বিমানে যাত্রা করার মতো টাকা নেই।
এবিষয়ে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সরকার মানুষের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। অকালে অনেক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। তার দায় কে নেবে? কেন্দ্র না পারলে দায়িত্ব অন্যদের হাতে তুলে দিক।
পাল্টা উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, মোদীজির আমলে ট্রেন পরিষেবার অনেক বিকাশ হয়েছে। দুর্ঘটনা কখনও বলে আসে না। তৃণমূল রাজনীতি করছে। আমাদের সরকার মানুষের সুরক্ষা নিয়ে তৎপর।