আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘আসানসোলে ভোটে পরাজয়ের পরই এই বকেয়া চিঠি পেয়েছি। পরাজয় সহ্য হচ্ছে না বিজেপির। আমাদের পুরসভার অধীনে রেলের বহু অফিস, বাড়ি রয়েছে। তারও অনেক কর বাকি পড়ে রয়েছে। আমরা তারও হিসেব কষা শুরু করেছি। সেটা সম্পূর্ণ হলে দ্রুত তাঁদের পাল্টা চিঠি দেব।’ বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘আসানসোল পুরসভা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই সর্বত্র বকেয়া পড়ে রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। বিজেপি প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করে না।’
আসানসোল রেল ডিভিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি এনিয়ে কেউ মন্তব্য করেনি। সূত্রে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই বকেয়া মেটাচ্ছে না পুরসভা। প্রতি বছরই চিঠি দেওয়া হয়। রেল সূত্রে দেওয়া চিঠি অনুযায়ী, নুনিয়া কলোনিতে ২২৭৫ বর্গফুটের রোডওয়ে কালভার্টের লাইসেন্স ফি ও লিকুইডেট ডেমারেজ চার্জ বাবদ ১৯৮৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বকেয়া ৭৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৬২ টাকা। এর পাশাপাশি চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত লাইসেন্স ফি বাবদ চাওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৮০ টাকা। এছাড়া স্টেশন চত্বরে ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুট এলাকায় বাস চলাচলের জন্য মোট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ দাবি করা হয়েছে রেলের জমিতে থাকা পুরসভার অফিসের জন্য। ১৪ হাজার ৫২০ বর্গফুটের সেই অফিসের জন্য লাইসেন্স ফি ও লিকুইডেট ডেমারেজ চার্জ বাবদ চাওয়া হয়েছে প্রায় ৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সর্ব মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে দশ কোটি।