আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সালটা ১৯৮৮ কি ’৮৯। আমি তখন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী। একদিন জানতে পারলাম স্ত্রী কমলা বসুকে নিয়ে দুর্গাপুজোর ছুটি কাটাতে এই বাংলোয় আসবেন জ্যোতিবাবু। সেবার আমার ডাক পড়ে। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কমলা বসুর জন্য ঢাকাই শাড়ি কিনে স্ত্রী কল্যাণী, ছেলে ও বউমাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। দেখি, কমলা বসু আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলোর গেটে হাজির। বাংলোর জানলা খুলে দিয়ে জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে জ্যোতিবাবুর সঙ্গে কতই না রাজনীতি, পার্টি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এখন হুইলচেয়ার আমার সঙ্গী। পার্টিও ক্ষমতায় নেই। জ্যোতিবাবু এলে কাকভোরে এই বাংলো থেকে একটি গাড়ি ছুটে যেত শিলিগুড়ি। তিস্তার বোরোলি মাছ বরফ দিয়ে নিয়ে এসে রান্না করতেন বাংলোর রাঁধুনিরা। সেই মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে জ্যোতিবাবুর আনন্দের সীমা থাকত না। সেই বাংলো ছাই হয়ে গেল! বনমন্ত্রী থাকার সময় কতবার এই বাংলোয় গিয়েছি, হিসেব নেই। কিন্তু এভাবে বাংলোটি পুড়ে যাবে, বিশ্বাস করতে পারছি না। এর তদন্ত হওয়া উচিত।
(অনুলিখন : উজ্জ্বল রায়)