আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২০১৭ সালের ভয়াবহ প্লাবন ফিরে আসবে না তো? সেই আশঙ্কায় এখন রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার উপক্রম টাঙ্গন নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। জল বাড়ছে দেখে অনেকে গুছিয়ে রাখতে শুরু করেছেন তল্পিতল্পা।
গত কয়েকদিন ধরে উত্তর দিনাজপুরের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও টাঙ্গন নদীতে জল বাড়ছে। বুধবার রাধিকাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাসিন্দারা এবছর বিপদের আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের রামপুর, কৃষ্ণপুর, নারায়ণপুর সহ আশপাশের এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবন হয়েছিল। বাসিন্দারা ডুবে যাওয়া বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন সরকারি স্কুলে। ক্ষতি হয়েছিল জমির ফসলের। সেই ঘটনার পর বোল্ডার দিয়ে কিছু অংশে বাঁধ মেরামত করা হলেও বেশিরভাগই নিরাপদ নয়। কারণ, এর পিছনে রয়েছে দেদার বালি ও পাড়ের মাটি পাচার।এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ বাসফোর বললেন, ২০১৭ সালের প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার পর রাস্তাঘাট বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। টাঙ্গন নদীতে এবার জল বাড়তে শুরু করেছে। কোথায় বাঁধ ভেঙে এলাকায় নদীর জল ঢুকে যায়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের ফরিদপুর এলাকায় বালি মাফিয়ারা টাঙ্গন নদী থেকে দেদার বালি তুলে চলেছে। এতে নদীর গতিপথ বদলে জনবসতিপূর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও এই নদী ও পাড় খনন রুখতে প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।
রাধিকাপুরের প্রবীণ বাসিন্দা চাঁদমোহন রাজবংশী ও যজ্ঞেশ্বর দাসের কথায়, গত বন্যায় আমাদের বাড়ি, জমি ডুবে গিয়েছিল। বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছিলাম। বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকি। পরিবার নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেব, সেসব ভেবে দিন কাটছে এখন।
যদিও স্থানীয় রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের দাবি, বন্যা পরিস্থিতি হলে মোকাবিলার সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপির প্রধান ভরনা রায় বলেন, আমরা পাঁচটি ফ্লাড সেন্টার প্রস্তুত রেখেছি। নদীর জল বাড়লে সেই সেন্টারে রাখা হবে বাসিন্দাদের। ‘আপদা মিত্র’ দের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। নজর রাখা হচ্ছে নদীর জল কতটা বাড়ছে সেদিকে।