সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: নকশালবাড়ির হাতিঘিষা পঞ্চায়েতের প্রধানের পাড়া জলমগ্ন। ঘরবন্দি মঙ্গলসিংজোতের বাসিন্দারা। বন্ধ স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। প্রতিবাদে বুধবার হাতিঘিষা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। মঙ্গলসিংজোতে শতাধিক পরিবারের বাস। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সবক’টি রাস্তাই ডুবে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ভিতরেও ঢুকে গিয়েছে জল। বাসিন্দাদের দাবি, মূল নিকাশি নালা দখল হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা হাতিঘিষা পঞ্চায়েতের প্রধান ক্যাথরিনা তামাং। এলাকাতেই পঞ্চায়েত অফিস। স্বভাবতই যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা শঙ্কর মাঝি বলেন, মূল নালাটি বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই এত সমস্যা। একাধিকবার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে আমরা অভিযোগ করেছি। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমরা চাই, গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ নিক। আরএক বাসিন্দা রসিতা টোপ্পো বলেন, শিশুদের পিঠে করে স্কুলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। রাতের বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকেছে। সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড়ের আতঙ্কে দিন কাটছে। রাস্তা, বাড়িতে হাঁটুজল। বারবার পঞ্চায়েত অফিসে জানানো সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এক সপ্তাহ ধরে বাড়ির একাংশ জলে ডুবে, দাবি উদয় মাহালির। কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এডমিন টোপ্পো বলেন, মাটিগাড়ার এপিসি কলেজে পড়ি। কলেজ যেতে পারছি না। কারণ, গ্রামের রাস্তায় জল। বাগডোগরার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সুদীপ ধনওয়ার বলেন, বাবা সকালে পিঠে চাপিয়ে মূল রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যায়। বিকেলে একইভাবে বাড়িতে ঢুকি। গত কয়েক দিন ধরে এমনটা চলছে।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাতিঘিষা পঞ্চায়েতের প্রধান ক্যাথরিনা তামাং। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গ্রামের নালাগুলি সাফাই করা হবে। কোথাও নালা দখল হয়ে থাকলে উপর মহলে জানিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।