আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুণ্ডা ১ ও ২ এবং পণ্ডিতপোঁতা ১ পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে ডাঙাপাড়ার ওই সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই পথে ডাঙাপাড়া, আশ্রম, গোধাগছ, কাশিবাড়ি, কাঠালবাড়ি, বাঁসবাড়ি, মাজিদপুর সহ অন্য এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। বুধবার সকালে নদীর জল বাড়তে থাকে। কচুরিপানা, বাঁশ সহ আবর্জনা ভেসে ডাঙ্গাপাড়ার সাঁকোয় আটকে যায়। জলের গতি বাড়তে থাকায় এক সময় সাঁকোর মাঝমান ভেঙে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মোতাহার ইসলাম বলেন, প্রতিবছর একই সমস্যা। নেতা-মন্ত্রী, প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানার পরেও সমাধান হচ্ছে না। নেতারা প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ করেন না। এদিন সাঁকো ভেঙে যাওয়ার ফলে ওপারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
মুস্তাফিজুর রহমানের কথায়, ৪-৫ টি পঞ্চায়েতের মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করে ইসলামপুর যাতায়াত করতেন। এখন ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়ার হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, জক্তগাঁও হাইস্কুল, মাটিকুন্ডা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা যেতে পারছে না।
বাসিন্দা মহম্মদ ফাইজউদ্দিন বলেন, পাকা সেতুর জন্য জমি দান করলেও সেতুর কাজ শুরু হয়নি। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটিও এদিন ভেহে গিয়েছে।
ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়ার হাইস্কুলের শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ সিংহ ইসলামপুর থেকে বাইক নিয়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যান। তিনি বলেন, সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। পড়ুয়ারাও স্কুলে টেতে পারছে না।
মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে ডাঙ্গাপাড়ায় সেতু নির্মান হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।