গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার সি সুধাকর বলেন, সিমবক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অবৈধভাবে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালানোর ঘটনা নিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফুলবাড়ি জোটিয়াকালী মোড়ের সেই এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে গোয়েন্দারা একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সেই এক্সচেঞ্জ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হতো বাংলাদেশ থেকে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে হুন্ডি বা হাওলার মধ্যমে ফুলবাড়িতে টাকা আসত। আবার কখনও কখনও সেই টাকা বাংলাদেশ থেকে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে পাঠানো হতো। ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের কিছু ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলিতেই বাংলাদেশি টাকা ভারতীয় টাকায় পরিণত করত সাবিরের সাগরেদ রাজু রায়। যার প্রকৃত পেশা হোম ডেলিভারি।
গোয়েন্দারা বলেন, সাবির বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার বহু চেষ্টা করেছিল। কখনও সে কলকাতার, আবার কখনও ফুলবাড়ির দুই ব্যক্তি ভুয়ো এক্সচেঞ্জের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছিল। টানা তিনদিন ধরে জেরা করার পর ভেঙে পড়ে। সিমবক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ চালানোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগের কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে হোম ডেলিভারি বয় রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে একসময় মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রে কাজ করত। সুই সুবাদে সে বাংলাদেশ থেকে আসা টাকা ফুলবাড়িতে পরিবর্তন করে সাবিরের ডেরায় নিয়ে যেত। এজন্য সে পেত মোটা অঙ্কের কমিশন।
শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ চালানোর জন্য প্রচুর সিমকার্ড জোগাড় করে সাবির। এজন্য সে হোটেল বয় দয়াল বর্মনকে ব্যবহার করত। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহরে হিলকার্ট রোডে একটি হোটেলে বয়ের কাজ করত দয়াল। সে জাল নথি দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করত সিমকার্ড। প্রতি সিমকার্ড ৫০০ টাকার বিনিময়ে সাবিরকে সরবরাহ করত।
বুধবার জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতে দায়াল ও রাজুকে তোলে শিলিগুড়ি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিডি)। আদালত ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, দয়ালকে পাঁচদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর রাজুকে ১৫ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ডিডি’র অফিসারদের বক্তব্য, কোথা থেকে কীভাবে কত সিমকার্ড দয়াল জোগাড় করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।