কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তবাবু বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সেতুর কাজের শিলান্যাস হয়েছিল। তারপর কাজ শুরু হয়। কিন্তু যে গতিতে কাজ চলছে তাতে মনে হচ্ছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ কোনওভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি আমি এই ব্যাপারে জানতে পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করি। কাজের গতিতে নিয়ে জানতে চাইলে ওই আধিকারিক জানান সেখানে কিছু দোকান রয়েছে। তারা না সরে গেলে কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব নয়। এদিন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাজে গতি এল। আশা করছি, আগামী বছরের দুর্গাপুজোর আগে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এটি নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা। তাই সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ হওয়া দরকার।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে এসে পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ওই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মিটিং করে অসামাপ্ত কাজগুলি দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের ৮-১০টি প্রজেক্ট রয়েছে যেগুলি জমির সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল। আমি উত্তরবঙ্গে থাকি, তাই ওই মিটিংয়ে আমাকে আটকে থাকা কাজগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। আমি তাই ওসব আটকে থাকা কাজ পরিদর্শন করে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছি। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই সড়ক সেতুটির কাজ শেষ করা যাবে। এখানে কিছু দোকান ও একটি মন্দির আছে। আমি ওসব দোকানে মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই জায়গা ফাঁকা করে দিবেন। সেতুর ডাইভারশানের কাজ হয়ে গেলে তাঁরা আবার এখানে চলে আসবেন। এছাড়াও একটি কালীমন্দির সেখানে আছে। আমি জানিয়েছি, সেই মন্দিরটি আমরা নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
অন্যদিকে এদিন মন্ত্রী গৌতমবাবুকে আনন্দনগর ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন মন্ত্রী আনন্দনগর পাড়া থেকে ময়নাগুড়ি রেলেগেট চত্বরে যান। সেখানে রেলের আন্ডারপাসের সমস্যা সম্পর্কে বাসিন্দাদের থেকে জানার চেষ্টা করেন। ওই আন্ডারপাসটি এতটাই নিচু করা যে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মন্ত্রী জানানিয়েছেন, আন্ডারপাসটি দিয়ে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে সেজন্য নবান্নে জানানোর পাশাপাশি তিনি রেলকে চিঠি দিবেন। এরপর মন্ত্রী আনন্দনগর পাড়ায় বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর বাড়িতে যান। সেখানে কিছুক্ষণ দলীয় আলোচনা সেরে ময়নাগুড়িতে তৃণমূল পার্টি অফিসে আসেন।
প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ি আনন্দনগর পাড়ায় একটি বহু পুরাতন সেতু আছে। কিন্তু সেটি অনেকদিন ধরেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়দের দাবি মেনে, সেখানে আট কোটি টাকা খরচ করে পূর্তদপ্তর নতুন সেতু তৈরির কাজ এপ্রিল মাস নাগাদ শুরু করে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ, যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা ধরেই নিউ ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনে যেতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই সেতুর উপর চাপ রয়েছে। কিন্তু সেখানে কিছু দোকানপাট থাকায় ব্যবসায়ীরা এতদিন সরতে চাইছিলেন না। এদিন মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে সরে যাবেন বলে জানান।