কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
সকাল ৯টার মধ্যে সংসারের রান্নাবান্না করে টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ওই মহিলা। গঙ্গারামপুর শহরের চৌপথী, হাসপাতাল মোড়, বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দেখা মিলবে তাঁর। রীতাদেবী বলেন, চার বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমার স্বামী বাসের ড্রাইভার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর মাথায় বাজ পড়ে। ধীরে ধীরে নিজেকে সামলাই। এক ছেলে নিয়ে সংসারের হাল ধরতে দমদমা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে টোটো কিনি। শহরে প্রথমে আমিই টোটো নামিয়েছিলাম। টানা দু’বছর শুধু টোটো চালিয়ে ছেলেকে পড়াশুনা করিয়েছি। বর্তমানে আমার অবস্থা দেখে প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমাকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করে দেন। হাসপাতালের কাজ করেও ছেলের পড়াশুনার খরচ ও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে থাকি। বাধ্য হয়ে এখনও হাসপাতালের ডিউটি শেষে টোটো চালাই। আমার ছেলেকে কলকাতায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছি। প্রথম দিকে অনেক মানুষ আমাকে নিয়ে নানাভাবে ঠাট্টা করতো। এখন পরিচিত হওয়ায় আমার টোটোতেই বেশিরভাগ শহরবাসী উঠতে পছন্দ করেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন আমাদের শহরে এক গৃহবধূ সংসার বাঁচাতে টোটো নিয়ে শহরের রাস্তায় নেমেছিলেন চার বছর আগে। আমি চেয়ারম্যান থাকার সময় ওই গৃহবধূর শহরের বুকে টোটো চালাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। ওই মহিলা টোটো চালিয়ে নিজের ছেলেকে পড়াশুনা শিখিয়ে মানুষ করছেন। আমি তাঁকে হাসপাতালে একটি কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর্তমানে হাসপাতালের কাজ শেষ করে টোটো চালান তিনি। আগামী দিনেও ওই মহিলার পাশে থাকব।