কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
নয়ারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ শা বলেন, বিশ্বকর্মারপুজোর আগে থেকে নয়ারহাট বাজারে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছে। পুলিস প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও বাজার এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে না। শনিবারও আমাদের বাজারের একটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। এই কারণেই আমরা আলোচনা করে স্থির করেছি, প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখবেন। এদিন হাটবার থাকলেও আমরা কেউ দোকান খুলিনি। পুলিসের নিশ্চয়তা পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মজিরুল হোসেন বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি ধারাবাহিকভাবে নয়ারহাটে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমাদের দলের কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ওরা হামলা করছে। শুধু তাই নয়, পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। এমনকী দলীয় কর্মীদের দোকান খুঁজে খুঁজে বের করে ভাঙচুর, লুটপাট করছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাজার চত্বরে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ করে রেখেছে। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। স্বাভাবিক কারণে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্যই ব্যবসায়ীরা এদিন দোকান বন্ধ রাখেন। আমরা ব্যবসায়ীদের এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে রয়েছি।
বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, নয়ারহাটে বহিরাগতদের এনে তৃণমূল ধারাবাহিকভাবে বোমাবাজি করে যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাজারে ঢুকে দেদার বোমাবাজি করে। বাজার করতে আসাদের ভয় দেখিয়েছে। আমরা লোকসভা ভোটে খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দলে লোকজন যোগদান করছে। এতেই ওরা ঈর্ষা করছে। তাই জোর করে এলাকা দখল করতে চাইছে। বাজারকে কেন্দ্র করে ওরা গোটা এলাকাকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। আমরা ব্যবসায়ীদের পাশে আছি।
মাথাভাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে। বাজারের পরিবেশ অশান্ত যাতে না হয়ে সেজন্য টহল দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও নয়ারহাটে ওই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দু’দিন ধরে ফের নয়ারহাট বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দোকান, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির মতো ঘটনাও হয়েছে। শনিবার রাতে নয়ারহাট বাজারে দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর অর্নিদিষ্টকালের জন্য এদিন থেকে ব্যবসায়ীরা দোকাপাট বন্ধ করে দেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে মাথাভাঙা-১ ব্লকের নয়ারহাট বাজার চত্বর একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ব্লকের সবচেয়ে বড়ো বাজারটি হল নয়ারহাট। নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও হাজরাহাট-১, গোপালপুর, কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ এখন থেকেই হাটবাজার করে। রবিবার সাপ্তাহিক হাটবারে গৃহপালিত পশু ক্রয়বিক্রয় হয়। ধান, পাট, সব্জির পাইকারি বাজার বসে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সপ্তাহে একদিন মাত্র হাট বসে। ওই দিন হাট না বসলে ব্যবসায়ীদের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। কৃষিপণ্য বিক্রি করতে না পেরে তাঁও বিপাকে পড়েন। এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে পুলিসের উপরেও সম্প্রতি হামলা হয়েছে। পুলিস ভ্যান ভাঙচুর, পুলিসকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।