সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হত্যার পর এমপির দেহটি বহু টুকরো করা হয়েছে। কিন্তু বহু খুঁজেও দেহাংশ উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এদিকে, বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী কোনও সাংসদের মৃত্যু হলে ওই আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করার কথা জাতীয় সংসদের। তার ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপ নির্বাচন হয়। কিন্তু দেহাংশ না মেলায় শাসকদলের এমপি যে মৃত, তা ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে আনোয়ারুল আজিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে তদন্তের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। যার ফলে ঝিনাইদহ-৪ আসনটি শূন্য কি না, তাও এখনই ঘোষণা করা যাবে না। সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ শাহ্দিন মালিক জানিয়েছেন, সাংসদ যে খুন হয়েছেন, তা স্পষ্ট। কিন্তু এই ঘটনায় পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। নিয়ম অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সংসদের সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশনকে আনোয়ারুলের মৃত্যু সংবাদ দিতে হবে। না হলে তারা এ বিষয়ে কখনই নিশ্চিত হতে পারবে না। মৃত্যুর খবরে সিলমোহর পড়লে তবেই উপ নির্বাচন ঘোষণা সম্ভব। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদের মৃত্যু হলে তার পদটিকে শূন্য বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে তদন্তের ফলাফলের উপর। তদন্তকারীরা আওয়ামি লিগের এমপিকে মৃত বলে ঘোষণা করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সংসদের সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশনকে তা জানানো হবে। তার পরেই আসনটি শূন্য বলে ঘোষণা করা হবে। দেহাবশেষ না পেলে হত্যা মামলায় কী হতে পারে? সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী জানান, হত্যা কি না, তা প্রমাণে মৃতদেহ বা দেহাবশেষ প্রয়োজন। তা খুঁজে না পাওয়া গেলে জড়িতদের স্বীকারোক্তি, প্রত্যক্ষ সাক্ষী ও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হয়। দেহাবশেষ পাওয়া গেলে বাবা-মা বা সন্তানের ডিএনএ টেস্ট থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে দেহাবশেষও মেলেনি। ফলে এই হত্যা তদন্ত যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনই আদালতে প্রমাণ করাও কষ্টসাধ্য। মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণিত না হলে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।