আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লর্ড রেঞ্জার। লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন বরিসকে পরিবহণ সংক্রান্ত নীতি নিয়ে নিয়ামিত পরামর্শ দিতেন তিনি। কোভিডকালে মদ্যপান সংক্রান্ত বিতর্কের জেরে গদি হারিয়েছিলেন বরিস। এবার মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণের কারণে শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন তাঁর বন্ধুও।
পার্লামেন্টের স্ট্রেঞ্জার্স বার। অভিযোগ, গত জানুয়ারিতে সেখানেই মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন কুলভীর। দুই অভিযোগকারী জানিয়েছেন, হেনস্থা করার পাশাপাশি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেন এই কনজারভেটিভ নেতা। ঘটনার জেরে রীতিমতো ভেঙে পড়েন এক অভিযোগকারী মহিলা। তিনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছি। ঘটনার পর আতঙ্কে ঘুমোতে পারিনি বহুদিন।’ অভিযোগ সামনে আসতেই তদন্তে নামে উচ্চ কক্ষের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। রিপোর্টে কমিটি জানিয়েছে, ‘এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি পৃথক ঘটনায় অভব্য আচরণ করেছেন লর্ড রেঞ্জার। মদ্যপ অবস্থায় মানুষকে হেনস্তা করেছেন।’
ইতিমধ্যে দুই অভিযোগকারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। কুলভীরের দাবি, এই ঘটনার বিষয় তাঁর কিছুই মনে নেই। কিন্তু নিজের আচরণের কথা জানতে পেরে তিনি দুঃখিত। উচ্চকক্ষের সদস্য আরও জানান, ওই সময় স্ত্রী এবং সন্তানদের অসুস্থতার কারণে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তাই হয়তো অজানতে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন।
শুরুতে কুলভীরকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করার পরামর্শ দিয়েছিলেন উচ্চকক্ষের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার। পরে তাঁর আচরণের কথা মাথায় রেখে মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।