শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
রবিবার একটি টিভি সাক্ষাৎকারে ‘পুরোদস্তুর যুদ্ধের সম্ভাবনা’র কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি পর্যন্ত দেন। তিনি বলেন, ‘দু’টি পরমাণু শক্তিধর দেশ যখন লড়াই করে, তখন পুরোদস্তুর যুদ্ধ হয়। আর সেই সময় পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবলভাবে থাকে।’ তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এ কে ভাল্লা এবং গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা।
গত মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরের হালহকিকত সম্পর্কে বৈঠকে জানতে চান অমিত শাহ। মোবাইল পরিষেবা ফের শুরু করা যায় কি না, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে অমিত শাহের কাছে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছে, কমপক্ষে ২০০ পাকিস্তানি জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লঞ্চপ্যাড ভরে গিয়েছে। লস্কর-ই-তোইবা, হিজবুল সহ একাধিক সংঘঠনের জঙ্গি কাশ্মীর উপত্যকায় ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছে। বিভিন্নভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখা অশান্ত রাখতে একাধিকবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। রবিবার রাত থেকে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র এবং মর্টার ছোঁড়ে পাক সেনা।
এব্যাপারে সেনার জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে পুঞ্চ জেলার বালাকোট এলাকার মেন্ধার সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গোলা-বারুদ ছুঁড়তে শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে কর্তব্যরত সেনা আধিকারিকদের কাছে একটি মর্টার ফাটলে চারজন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আঘাত ততটা গুরুতর নয়। অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে বিনা প্ররোচনায় ২০৫০ বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনা। যার জেরে প্রাণ গিয়েছে ২১ জন ভারতীয়র। এব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের দাবি, ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন চুক্তি মেনে চলার জন্য বারবার পাকিস্তানকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামাবাদ সেই অনুরোধে কান দেয়নি।