আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ওড়িশার ভদ্রক জেলার গ্রামের একটি গাছে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার পান্ডি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। পরে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় সে। বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ডায়েরিতে মুক্তিরঞ্জনের লেখা সুইসাইড নোট পুলিসের হাতে আসে। সেখানে ৩ সেপ্টেম্বর ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রেমিকা মহালক্ষ্মীকে খুনের কথা উল্লেখ করে অভিযুক্ত। সুইসাইড নোটে মুক্তিরঞ্জন লিখেছে, ‘মহালক্ষ্মীর আচরণে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রায়শই বচসা হতো। মহালক্ষ্মী আমাকে মারধর করত। রাগের বশে ওকে খুন করেছি।’ এখানেই শেষ নয়। ওই যুবক আরও লিখেছে, ‘খুনের পর ওর দেহের মোট ৫৯ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম।’ বেঙ্গালুরুর একটি শপিং মলে কাজ করতেন মহালক্ষ্মী। সেখানেই তাঁর সহকর্মী ছিল মুক্তিরঞ্জন। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাজে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেদিন থেকে মহালক্ষ্মীও আর কাজে যাননি। খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল মুক্তিরঞ্জন। অভিযুক্তকে খুঁজতে ওড়িশায় চারটি টিম পাঠিয়েছিল পুলিস। গত ২১ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর ভালিকাভালে একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে মহালক্ষ্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বাসিন্দা ওই তরুণী বিবাহিত। তবে স্বামী ও পুত্র অন্যত্র থাকতেন।