পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
নবান্নের ওই আমলা আরও বলেন, গত সপ্তাহে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা বিদেশ সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম-কলকাতা নতুন বাস রুট চালুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। এই চিঠিতে ভারতের বিদেশ সচিবের কাছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। প্রসঙ্গত, তৃণমূল আমলে রাজ্যের পরিবহণ সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গোপালিকা। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পণ্য পরিবহণে নয়া দিগন্ত খোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিশেষ করিডর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা থেকে বিবিধ পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছতে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য সুনির্দিষ্ট করিডর চালু হলে সেই দূরত্ব এক লহমায় ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক বাস রুট চালু রয়েছে। যেগুলি হল, কলকাতা-ঢাকা, কলকাতা-খুলনা এবং কলকাতা-আগরতলা ভায়া বাংলাদেশ। এছাড়া শিলিগুড়ি থেকে কাঁকরভিটা (নেপাল) রুটে বাস চলাচল করে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় স্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানায়, কলকাতাগামী যাত্রীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কলকাতার বাস চালু করা হোক। তারপরই বিদেশ মন্ত্রক তা কার্যকর করতে সক্রিয় হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের পর এই বাস চালু স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নবান্নের ওই আমলার মতে, আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। সেই মোতাবেক দুই রাষ্ট্রের কত বাস, কত যাত্রী প্রতি ট্রিপে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করতে পারবে, তা স্থির হবে।