আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আগামী ১৯-২২ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’ নামে মেলা হবে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে। সেব্যাপারে বিস্তারিত জানাতেই এদিন ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে হাজির হয়েছিলেন সপার্ষদ চিরাগ পাসোয়ান। সেখানেই তিনি সাফ বলেন, ‘মন্ত্রকের সাফল্যের কোনও পরিসংখ্যান শোনাতে চাই না। কারণ, আমি করে দেখানোয় বিশ্বাসী। তাই এত লক্ষ লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এত কাজের সুযোগ মিলেছে, এই সব পরিসংখ্যানে যেতে চাই না। বাস্তবে কী হয়েছে, কী হতে পারে, কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়া আটকাতে মন্ত্রক কী করতে পারে, কৃষকদের উপার্জন কী করে বাড়তে পারে—সেই সম্ভাবনার সন্ধানই আমার লক্ষ্য। কারণ, যুবকদের মধ্যে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব। তা নিয়ে তারা চিন্তিত।’
নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন এই সব কথা বলছেন, তখন সেখানে উপস্থিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের সচিব অনিতা প্রবীণ, মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু। দু’জনের দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান। তাঁদের চোখেমুখে তা ধরাও পড়ে। কিন্তু চিরাগকে থামানো যায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। এই সেক্টরকে ঠিকমতো ব্যবহারই করা হয়নি। সম্ভাবনা যত ছিল, তার মাত্র ১০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে আমি অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। কৃষকদের ফসল নষ্ট রুখে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাড়তি উপার্জনের পথ খুলে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।’
চিরাগের নেতৃত্বে এবার লোকসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসন জিতেছে লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)। তাই এনডিএ-র শরিক ‘কোটা’য় তাঁকে মন্ত্রী করতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন মোদি। তাই তাঁর মুখে বেকারত্ব ইস্যুতে বেসুরো মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু চিরাগ নন, মন্ত্রকের সচিব অনিতা প্রবীণের কথাতেও লুকিয়ে ছিল অন্য ইঙ্গিত। নরেন্দ্র মোদির গত ১০ বছরের রাজত্বে যে পরিসংখ্যান আর বাস্তবে ফারাক রয়েছে এবং বহুল প্রচারিত ১০০ দিনের এজেন্ডাও যে কার্যত ফাঁপা, তাও এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, গত বছর ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ায় ৩৯৮ কোটি ডলার বিনিয়োগের ‘মউ’ (চুক্তি) হয়েছে ঠিকই, তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আবার ভারতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবারকে ১০০ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।