আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
যদিও বর্ধিত শূন্যপদের জোনভিত্তিক পরিসংখ্যান আরআরবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। রেলের এহেন বিজ্ঞপ্তিতে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। সংশয় তৈরি হয়েছে, এসব শূন্যপদে নিয়োগের পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়েও। জুলাই-আগস্ট মাসে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে দিনক্ষণ কিছু এখনও ঘোষণা হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মত, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রেলের টনক নড়েছে ঠিকই। কিন্তু বাস্তবায়ন হবে তো? তবে রেল যখন আরও বেশি চাকরির আশ্বাস দিয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করছে, তখনই সামনে এসেছে রেলের শূন্যপদ নিয়ে একটি আরটিআই জবাব। তাতে স্পষ্ট হয়েছে, শুধুমাত্র সহ-চালক পদে নয়। লোকো পাইলট, সেফটি ক্যাটিগরি, গ্রুপ-সি’র (লেভেল ওয়ান) মতো একাধিক পোস্টে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে যার সংখ্যা চার লক্ষেরও বেশি।
ট্রেনের চালক পদে ১৪ হাজার ৪২৯, সেফটি ক্যাটিগরিতে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৩৪ এবং গ্রুপ সি পদে রেলের শূন্যপদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০২টি। আরটিআই কর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়ের করা আবেদনের ভিত্তিতেই এহেন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রেল। গত ১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই জবাব দিয়েছে মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট জবাবে অবশ্য সহ-চালকের শূন্যপদের উল্লেখ রয়েছে ৪ হাজার ৩৩৭টি। লোকো পাইলটের ক্ষেত্রে মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, মালগাড়ি—সবক’টি ট্রেনকেই ধরা হয়েছে। ট্রেন চালকের এতগুলো পদ শূন্য থাকায় উঠছে অন্য প্রশ্নও। সোমবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক তাহলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছিলেন তো? নাকি রেস্ট-পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে ডিউটিতে যোগ দিতে হয়? রেল অবশ্য জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক ৩০ ঘণ্টারও বেশি বিশ্রাম নিয়েই ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে নাইট-রেস্টও রয়েছে।