চণ্ডীগড় ও নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটে হরিয়ানায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে। রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ঝুলি ছিল শূন্য। এবার তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে পাঁচ। হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যে চলতি বছরেই বিধানসভা ভোট। তার আগে কংগ্রেস শিবিরে ফাটল ধরাল বিজেপি। বুধবার পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন চার বারের কংগ্রেস বিধায়ক কিরণ চৌধুরী। একইসঙ্গে দল বদল করলেন কিরণের প্রাক্তন সাংসদ-কন্যা শ্রুতিও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ও মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন তাঁরা। 
বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের এই শিবির বদল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। কিরণ রাজ্যের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ। মূলত কৃষক অসন্তোষের জেরে লোকসভা ভোটে পায়ের তলার জমি হারিয়েছে বিজেপি। হাতছাড়া হয়েছে জাঠ ভোটব্যাঙ্ক। এই অবস্থায় প্রয়াত বংশীলালের পুত্রবধূ ও নাতনির যোগদান বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিকে কিছুটা অক্সিজেন দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 
মেয়ে শ্রুতিকে নিয়ে একদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ চৌধুরী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা। দল ছাড়ার কারণ হিসেবে নাম না করে হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপীন্দর হুডার দিকে আঙুল তুলেছেন বংশীলালের পুত্রবধূ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে কংগ্রেস চলছে শুধুমাত্র একজন প্রবীণ নেতার স্বার্থসিদ্ধি করতে। তবে সূত্রের খবর, অসন্তোষের সূত্রপাত লোকসভা ভোটে মেয়ে শ্রুতি চৌধুরীর জন্য টিকিট না পাওয়ার কারণে। ২০০৯ সালে ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড় আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন শ্রুতি। কিন্তু তারপর থেকে এই আসনে জয়ী হয়ে আসছেন বিজেপির ধরমবীর সিং চৌধুরী। এই আসনে এবারও মেয়ের জন্য টিকিট চেয়েছিলেন কিরণ। তা না পেয়েই কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ তৈরি হয় তাঁর।