আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২৪ জুন থেকে সংসদের অধিবেশন। এমপি হিসেবে শপথ নিতে হবে। চলতি বছরেই চার রাজ্যে ভোটও। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সবার আগে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ভোট করাতে নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। তাই আর চুপ করে বসে থাকতে নারাজ রাহুল। লোকসভা ভোটে দলের ভালো ফলাফলের রেশ বজায় থাকতেই তিনি শুরু করছেন উল্লেখিত চার রাজ্যে দলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি। চার রাজ্যেই কংগ্রেস তথা জোটের সরকার গঠনই রাহুলের লক্ষ্য। যেভাবেই হোক রুখতে হবে বিজেপিকে। লোকসভা ভোটের মতোই চার রাজ্যের বিধানসভাতেও নরেন্দ্র মোদির দর্পচূর্ণ করাই রাহুলের টার্গেট। তাই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে আর রাহুল, উভয়ে শুরু করছেন প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক। মঙ্গলবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ২৪-২৭ জুন যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা আর জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর বৈঠক হবে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে জেএমএমের সঙ্গে জোট সরকারে আছে কংগ্রেস। হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস বিরোধী বেঞ্চে। জম্মু-কাশ্মীরে ভোটে হবে ১০ বছর পর। কাশ্মীরে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০-র বাতিল হওয়ার পর প্রথমবার বিধানসভার ভোট। লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধিতারই প্রবণতা দেখা গিয়েছে কাশ্মীরে। বিধানসভাতেও তারই পুণরাবৃত্তি হবে বলেই মনে করছে কংগ্রেস। তাই ন্যাশনাল কনফারেন্স আর মেহবুবা মুফতির পিডিপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে বিধানসভা লড়ার কথা ভাবছে কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনার সঙ্গে মহাবিকাশ অগাড়ি (এমভিএ) জোট রয়েছে কংগ্রেসের। ঝাড়খণ্ডে সঙ্গী জেএমএম। তবে হরিয়ানায় একা লড়ার পক্ষে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। যদিও দলের এআইসিসির একাংশ চাইছে, জেজেপি (জননায়ক জনতা পার্টি)কে সঙ্গে নেওয়া হোক। তাহলে ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা থাকবে না। বিজেপির সঙ্গে জোটে সরকার গড়লেও এখন সঙ্গ ত্যাগ করেছেন জেজিপি’র দুষ্যন্ত চৌতালা। তাই শত্রুর শত্রুকে মিত্র হিসেবে কাজে লাগানোর পক্ষে কংগ্রেসের একাংশ। কিন্তু ভূপিন্দর এবং তাঁর পুত্র দীপেন্দর হুডা রাহুল গান্ধীকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কনফিডেন্ট। একা লড়েই হরিয়ানায় সরকার গড়বে কংগ্রেস। - ফাইল চিত্র