আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। কিন্তু গরম অনুভূত হচ্ছে ৫০ ডিগ্রির মতো। প্রবল গরমে মাটি তেতে যাওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানের উড়ানে তিন ঘণ্টা বিলম্ব হয়। এরইমধ্যে বুধবার রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ধুলো ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এতে খানিক স্বস্তি মিললেও তা স্থায়ী হবে না। দেরাদুনে পারদ ৪৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। মুসৌরিতে ৪৩ ডিগ্রি। পাউরি ও নৈনিতালও তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে। গত তিনমাস কার্যত একই পরিস্থিতি চলছে। দেখা নেই বৃষ্টির। হিমাচল প্রদেশও ৪৪ ডিগ্রির তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় পারদ ৪০.৮ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছয়। জম্মুতে তা ৪৪.৩ ডিগ্রি।
অসহনীয় পরিস্থিতিতে বর্ষার অপেক্ষায় উত্তর ভারত। কিন্তু কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? উত্তর এখনও নেই। মৌসম ভবনের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই স্বস্তির বার্তা মিলতে পারে। কিন্তু আরব সাগরে হাওয়ার গতিপ্রকৃতি এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর পশ্চিমবঙ্গে ১ জুন থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে মৌসুমী বায়ু। এই সব এলাকায় মৌসুমী ঢুকে না পড়া পর্যন্ত উত্তর ভারতের তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার নেই।
রাজধানীতে এমন দুঃসহ গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা। তাঁদেরই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এখন একটানা ১৫ মিনিট হাঁটাও অসম্ভব। সকাল ১০ টাতেই আকাশ থেকে আগুন ঝরছে। আমাদের তো এসি রয়েছে। কিন্তু শহরের দরিদ্র ও যাঁদের রোদে কাজ করতে হয়, তাঁদের পরিস্থিতি ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।