নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হচ্ছে সেটি শক্তি বৃদ্ধি করলেও শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না সে-ব্যাপারে সোমবার পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। এটির চূড়ান্ত গতিপথের ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি। তবে একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা নিম্নচাপটির বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রাক-বর্ষা মরশুমে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া সাধারণত আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়। তারপর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এই নিম্নচাপটি কিন্তু তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের অন্য প্রান্তে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলে ইতিমধ্যেই একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আজ, বুধবার ঘূর্ণাবর্তটি শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করবে। আগামী শুক্রবার সকালের দিকে এটি মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তখনও এটির অভিমুখ উত্তর-পূর্ব দিকেই থাকবে এবং শক্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন, শুক্রবারের মধ্যে এটি অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। অতিগভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়ালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
শক্তিশালী নিম্নচাপ বা পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটি কোন দিকে যাবে সে-ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা এখনই সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হলে কোন দিকে যাবে তা মানচিত্র দেখলেই বোঝা যায়।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, সিস্টেমটির অভিমুখ উত্তর-পূর্ব দিক হলে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি। একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার রিপোর্টে সোমবার এটাই বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটির অভিমুখ পরিবর্তন করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত আবহাওয়া দপ্তর আগে থেকে দেয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর অভিমুখ পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনার কথা সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানায়নি। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থাটি জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত নাও হতে পারে।