গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মোদি সরকারের দাবি, ২০১৪ সালে তারা যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বা সেনসেক্স ছিল ২৫ হাজার। তাদের আমলে সেই সূচক ৭৫ হাজারে পৌঁছেছে। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, এটাও তাঁর সাফল্য। যদিও লোকসভা নির্বাচন পর্বে ভারতীয় শেয়ারবাজারে বড় রকমের ধস নেমেছে। তার দায় অবশ্য নিতে চায়নি কেন্দ্র। অমিত শাহ বলেছেন, ‘ভোটের সঙ্গে শেয়ারবাজারের ধসকে মিলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। যদি তেমন কথা ওঠে, তাহলে বলব, আগে থেকে শেয়ার কিনে রাখুন। ৪ জুনের পর দর অনেকটা বাড়বে।’ সেই দাবিকেই এদিন কটাক্ষ-বাণে বিঁধেছেন অর্থনীতিবিদরা।
এদিন শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এপ্রসঙ্গে অখিল স্বামী বলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে এসব বলেছেন একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তাঁর কথায় যদি সাধারণ মানুষ শেয়ার কিনে রাখেন এবং ৪ জুনের পর তার দর কমে যায়, তাহলে কোন আদালতে তাঁরা বিচার চাইতে যাবেন? এসব কথা তো ব্রোকার বলে থাকে।’ অনুষ্ঠানে হাজির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দে বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যে অস্থিরতা চলছে এবং শেয়ার সংক্রান্ত যে তথ্য বাজারে ছড়াচ্ছেন মোদি-শাহ, তা দেশের অন্যতম বড় দুর্নীতি হতে চলেছে।’
স্বামীর ব্যাখ্যা, অনেক ক্ষেত্রেই মুনাফা লোটার কারণে বাজারে ভালো বা মন্দ তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভালো তথ্যের ভিত্তিতে শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। বড় কারবারিরা সেই সময় শেয়ার বেচে বড় অঙ্কের মুনাফা ঘরে তোলেন। এরপর মন্দ তথ্য ছড়িয়ে বাজারে ধস নামানো হয়। তখন ওই কম দামে বিক্রি করা শেয়ার কিনে নেন। এই অসাধু কারবার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি আছে। মোদি-শাহ যেভাবে বাজার চাঙ্গা হওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেবে না সেবি? সেই প্রশ্নও তুলেছেন স্বামী। এমনকী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুই শিল্পগোষ্ঠীর থেকে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন মোদি, তা নিয়েও সরব হন দুই অর্থনীতিবিদ। এর জবাব চেয়ে তাঁরা চিঠি দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে।