আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ রাজ্যের তহবিল থেকে বাংলার প্রান্তিক মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘বাংলার আবাস যোজনা’। কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণের) টাকা মোদি সরকার বাংলাকে দিল না। তাই রাজ্য বাধ্য হল একেবারে নিজস্ব প্রকল্প হাতে নিতে।
প্রকল্পটি নিয়ে বুধবার রাজ্য স্তরের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানেই এই প্রকল্পের সুবিধা স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কীভাবে পৌঁছে দিতে হবে, তা প্রেজেন্টেশন সহকারে বুঝিয়ে দেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগনাথান। ছিলেন রাজ্যের অন্য সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্তারাও। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বিভাগীয় সচিব তথা রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। একইসঙ্গে ২৬ সেপ্টেম্বর জেলায় জেলায় সমন্বয় বৈঠক থেকে শুরু করে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কীভাবে প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান শেষ করতে হবে, তার জন্য একটি এসওপি জারি করেছে রাজ্য। যাচাইয়ের কাজ চলবে ২১-৩০ অক্টোবর। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরেই পরিষ্কার বলা হয়েছে, প্রকল্পের সুবিধা কেবলমাত্র ন্যায্য প্রাপকরাই পেলেন কি না, তা স্বাধীনভাবে স্যাম্পেল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখবেন অফিসাররা। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে—যাচাই থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরি শেষ হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কাজ প্রশাসনিক কর্তারা ঘুরে ঘুরে দেখবেন। এভাবেই নিশ্চিত করতে হবে প্রকল্পের অগ্রগতি। উপভোক্তারা কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কি না, একইভাবে তা দেখতে পারবেন থানার দারোগারাও। এখানেই শেষ নয়, এই প্রকল্পের অগ্রগতি, অভিযোগ গ্রহণ প্রভৃতি তথ্যাদি অফিসারদের নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদানের জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করা হচ্ছে। সেটি ব্যবহার করার জন্য, এসওপিতে জেলা স্তরের পদস্থ কর্তা এবং বিডিওদের মতো পুলিস অফিসারদের জন্যও ইউজার আইডি জেলা প্রশাসনকে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্যের আবাস প্রকল্পে পুলিসের দায়িত্বও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানান রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা।
আবার যাচাইয়ের সময় আধারের পাশাপাশি উপভোক্তাদের ইউনিক ডকুমেন্টস আইডেন্টিফিকেশন নম্বরও (ইউডিআইএন) দিতে হবে। এই প্রকল্প সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, গ্রামসভার বৈঠক করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার, এসওপি অনুযায়ী যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকা টাঙানো হবে গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও ও এসডিও অফিসে। তা দেওয়া হবে জেলার ওয়েবসাইটেও। প্রত্যেক বিডিও অফিসে রাখা হবে অভিযোগ গ্রহণের বাক্স। যেকোনও অভিযোগের নিষ্পত্তি পাঁচদিনের মধ্যেই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ জানানো যাবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে।