আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে দু’দিন ব্যাপী অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্স ছিল। দেশের সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার স্পিকাররা হাজির ছিলেন সেই সম্মেলনে। সেখানে পৌরোহিত্য করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সম্মেলনে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধান সচিব সুকুমার রায় সহ পাঁচজন আধিকারিক। ঘটনাচক্রে ঠিক তার আগেই ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত কমিটির রিপোর্ট পাস হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্রের এমন মনোভাবের কথাটি উঠে আসে স্পিকার সম্মেলনে। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্সে লোকসভার স্পিকার এক দেশ এক ভোট-এর মতো পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে একটি প্রস্তাব আনেন। তাতে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও সংস্থার অধীনে কাজ করতে হবে। যেটা দিল্লির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। ওরা যেসমস্ত এজেন্ডা দেবে, পঞ্চায়েতগুলিকে সেভাবে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রের এমন প্রস্তাবটি শোনার পরই আমি তীব্র আপত্তি জানিয়েছি। বিমানের সংযোজন, ওই প্রস্তাবের বাস্তবতা কী আছে, তা লোকসভার স্পিকারের কাছে জানতে চাই। উনি উত্তর দিতে পারেননি। এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বাংলার পঞ্চায়েতগুলি সুন্দরভাবে কাজকর্ম করছে, সেখানেও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের চেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যজনক এই প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্লাস, গ্রাম সড়ক যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা প্রাপ্য রয়েছে বাংলার। মুখ্যমন্ত্রীর নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও মেলেনি প্রাপ্য। এবার প্রাপ্য মেটানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা। রাজ্য থেকে পাঁচ হাজার চিঠি যাচ্ছে দিল্লি। পোস্টকার্ডে নিজেদের পারিশ্রমিক না পাওয়া, অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা। চিঠির সঙ্গে শ্রমিকরা এক টাকা করেও পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রকে।
অন্যদিকে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা কাজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে হাইকোর্টে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।