আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আর জি করের ঘটনায় ধর্ষিতার বিচার ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এদিন ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপির কর্মসূচি হয়েছে হাজরা মোড়ে। যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের সামনে মঞ্চ বেঁধে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতারা। তবে সভামঞ্চের সামনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতির হার ছিল একেবারে নগণ্য। কর্মসূচি চলাকালীন হাজরা মোড় থেকে আলিপুর, গোপালনগরগামী অটো, বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বাড়তি কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াত ছিল অন্যদিনের মতোই।
হাজরা মোড় সহ দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের রাজনৈতিক শক্তির মাদারল্যান্ড হিসেবেই পরিচিত। সেখানে তড়িঘড়ি কর্মসূচি করতে গিয়ে বিজেপির যে আগাম প্রস্তুতি ছিল না এবং সংগঠনে ব্যাপক মাত্রায় দুর্বলতা রয়েছে, তা ছত্রে ছত্রে ধরা পড়েছে। আবার এমন ছবিও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতা যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন, তখন যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের পাশ ঘেঁষে থাকা ফুটপাতের দোকানে গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে এগ-চাউমিন খাচ্ছেন বিজেপির কয়েকজন কর্মী।
সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ, বিজেপি নেতা তাপস রায় প্রমুখ। আগামী দিনে ফের নবান্ন, লালবাজার, কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বেকার যুবকদের নবান্নমুখী লং-মার্চ করার কথাও বলেছেন তাঁরা। এছাড়াও পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে এক হাজার ‘অভয়া মঞ্চ’ করে সই সংগ্রহের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।