আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢুকে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়েই প্রচুর বৃষ্টির শক্তিশালী মেঘ তৈরি হয়েছে। এই কারণে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে বেশি। অতিবৃষ্টির কারণে নানাবিধ ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে। যেমন—দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পাহাড়ে ধস, তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা প্রভৃতি নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি, মাঠের কৃষিপণ্য নষ্ট হওয়া প্রভৃতি।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের উত্তর কোঙ্কন থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত আছে। সেটি গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। ছত্তিশগড়ের উপর অবস্থিত একটি ঘূর্ণাবর্তকে অতিক্রম করেছে অক্ষরেখাটি। তার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে বৃষ্টির মেঘ তৈরি করছে রাজ্যজুড়ে। বুধবার দিনভর কলকাতায় এবং বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলের পর কলকাতায় বৃষ্টির মাত্রা বাড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতায় ১৭.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালের পর কলকাতায় বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে তা বন্ধ হবে না। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে আগামী কাল, শুক্রবার। আজ পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহার, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় শুক্রবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।