আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১৮ থেকে ২১ জুন বিনিয়োগের লক্ষ্যে কলকাতা আর সুন্দরবন ঘুরে দেখতে চান নিকোলাস ম্যাকক্রাফে। সাক্ষাতে কথা বলতে চান পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ তিনমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু দিল্লির জওহরলাল নেহরু ভবনের বিদেশ মন্ত্রকের সেকশন অফিসার অভিষেক বহুগুনা ইমেল বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার অফিসকে জানিয়ে দিলেন, মন্ত্রীদের সঙ্গে এই সাক্ষাতের প্রয়োজন নেই। বরং চাইলে ম্যাডাম নিকোলাস তৃণমূলের দুই এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং জহর সরকারের পাশাপাশি বিজেপির এমপি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রাক্তন এমপি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
আর এই চিঠি চালাচালির কথা জানতে পেরেই প্রতিবাদে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, এটা কী ধরনের ব্যবহার? বাংলায় কেউ যদি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়, তাহলে সেই রাস্তাও রুখবে মোদি সরকার? ফের বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা? তবে কি বাংলায় বিজেপি হেরেছে বলেই নরেন্দ্র মোদির এই প্রতিহিংসা? তোপ তাঁর। একইভাবে বুধবার বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ এবং দলের এমপি সাকেত গোখলে।
তাঁদের প্রশ্ন, জি-২০ সম্মেলনের সময় তো পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যকে সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছিল। তখন ছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ভারত। আর এখন বাংলায় বিনিয়োগের উৎসাহে বিদেশ থেকে কেউ রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী হলে, তা রুখছে মোদি সরকার। এটা তো স্বৈরাচার, স্বৈরাচারী মোদি। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কোনওভাবেই নরেন্দ্র মোদির এই আচরণ মানা যায় না।
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদদ্বয় আরও বলেন, এক্সিট পোল দেখিয়ে যেভাবে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন মোদি-শাহ, তার বিরুদ্ধে যদি সেবি তদন্ত না করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হব। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।